...
রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের দিগন্ত উন্মোচিত

যা যা মিস করেছেন

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে দেশ বিদেশের পর্যটক আসবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, এবং সর্বোপরি এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, সাফারি পার্ক এলাকায় বসবাসরতদের সুরক্ষা দিয়েই এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) একনেক সভায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় একটি সাফারি পার্ক নির্মাণের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, মৌলভীবাজার (১ম পর্যায়)’ প্রকল্পটি অনুমোদনের পর তাঁর সরকারি বাসভবন হতে নির্বাচনী এলাকার জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, একনেক সভার মন্ত্রিবর্গ ও সদস্যগণ, পরিবেশ সচিব, বন অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ সাফারি পার্কে বাংলাদেশের বিপদাপন্ন ও বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাঠিটিলার বনভূমিকে জবরদখলমুক্ত করে বন্যপ্রাণী বিশেষ করে হাতি, মেছো বিড়াল, বনরুই, খাটলেজি বানর, আসামি বানর, গন্ধগকুল, মায়া হরিণ, চশমাপরা হনুমান, ভল্লুক, সজারু ইত্যাদির বসবাস উপযোগী প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। হাতি উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে অসহায় এতিম ও উদ্ধারকৃত মহা-বিপন্ন হাতি চিকিৎসা প্রদান করা হবে। বিপদাপন্ন প্রজাতির বাঘ, গন্ডার, সিংহ, কুমির, ঘড়িয়াল, প্যারা হরিণ, সাম্বার হরিণ, নীলগাই, ভল্লুক ইত্যাদি বন্যপ্রাণীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তোলা হবে।

বনমন্ত্রী বলেন, আহত ও উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণী চিকিৎসার নিমিত্তে বন্যপ্রাণী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে জনগণের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। জলচর ও পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য পুকুর ও লেক খনন এবং বন্যপ্রাণীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য ফলের গাছ, তৃণভূমি ও বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হবে। বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য ১ লক্ষ টি চারা রোপণ, ভূমিক্ষয় রোধে পাহাড়ের ঢালে ও পাদদেশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও, এখানে নেচার হিস্ট্রি মিউজিয়াম ও প্রকৃতিবৃক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। তিনি আরও জানান, মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে দুই কিলোমিটার বেশি কেবল কার স্থাপনের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.