মোঃ মহিবুল ইসলাম, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
বরগুনার পাথরঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে সবথেকে পুরোনো ও বড় পাইকারি মুদি ফার্মেসিসহ ৩১টি দোকান এবং ৫টি বাসা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী বাজারের একটি গার্মেন্টস এর দোকানের মাল্টিপ্লাগ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাতক্ষণিক পাশের দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা ।
আগুনের ভয়াবহ লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বাজারের ব্যবসায়ী সহ আশপাশের মানুষজন।
আগুনের তীব্র লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পরায় বাজারের দোকানদার তাদের দোকানের মালাম বাজার থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। এতে করে বাজারের দোকান গুলোতে বেচাকেনা সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় ৪ঘন্টা ধরে জ্বলা আগুনে চরদুয়ানী বাজারের সব থেকে বড় পাইকারি মুদি, ফার্মেসিসহ, হার্ডওয়ার, গার্মেন্টস কসমেটিকস, মাছ ও কাঁচা বাজার মিলিয়ে ৩১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এছাড়াও বাজারে ৫টি বাসা এবং বাসার মালামাল পুড়ে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
পুড়ে যাওয়া দোকান এবং বাসা বাড়ি মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। দোকানগুলোর মালামালসহ হিসাবের খাতা পুড়ে যাওয়ায়ে বাকি টাকার হিসাবও আর পাওয়া যাবে না বল জানিয়েছেন কেউ কেউ।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা জানায়, আমরা দুপুরের সময় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে খাবার খেতে যাই। এর কিছুক্ষণ পরই আমাদেরকে ফোন করে জানানো হয় দোকানে আগুন লেগেছে। এসে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। চোখের সামনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলও কিছুই করার ছিল না।
গার্মেন্টসের দোকানের মাল্টিপ্লাগ থেকে শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজারের ব্যবসায়ীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বাজারের প্রায় ৩১টি দোকান, ৫টি বাসা ও বাসায় থাকা মালামাল পুড়ে গেছে ।
সংবাদ পেয়ে পাথরঘাটার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটসহ মঠবারিয়া বামনার মোট ৩টি ইউনিট প্রায় ২ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
এসময় সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গোলাম কবির, জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হোসেন, চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুর রহমান জুয়েল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকনুজ্জামান, পাথরঘাটা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম। উপস্থিত সকলের আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসকে সার্বিক সহযোগিতা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সমবেদনা জানান।
এসময় বরগুনা ২ আসনের সংসদ সদস রহমান রিমন এর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের প্রত্যেককে ৫০০০ টাকা করে এবং ফ্যামিলি বাসাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গোলাম কবির।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।