ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের হাসপাতালে বোমা হামলায় হতাহত হাজারো অসহায় মানুষকে জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ সামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন ওআইসির সদস্যভুক্ত ১৪ দেশের রাষ্ট্রদূতরা। বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনিদের পাশে আছে।
ফিলিস্তিন ও গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর চলমান হামলা ও এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশসহ ওআইসির অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থান ও করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, মরক্কো, কাতার, লিবিয়া, তুরস্ক, ইরান, ব্রুনেই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও মিশরের রাষ্ট্রদূত।
এর আগে টেলিফোনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে প্রধানমন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ মানুষের জন্য ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাতে নির্দেশ দেন।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার বিকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ফিলিস্তিনে ওষুধ সামগ্রী প্রেরণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের কষ্ট বোঝেন, ইসরাইলের হামলায় হতাহত নারী-শিশুদের বেদনা অনুভব করছেন তিনি তার নিজের জীবনের হতাহতের ক্ষত থেকে। শিশু রাসেলের হত্যায় কী বেদনা হয়েছে সেটি প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন। এ জন্যই বিশ্ব পরাশক্তিদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও ফিলিস্তিনের নিরীহ অসহায় মানুষের পক্ষে কথা বলছেন, তাদের চিকিৎসা সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা অতি দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ফিলিস্তিনের আহত মানুষের সেবা দিতে চাই। এ ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে ওষুধ সামগ্রী পাঠাতে সম্ভব সব চেষ্টাই করতে হবে।’