লোকমান হাফিজ
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) এর লাইব্রেরিতে যুক্ত হয়েছে ই-রিসোর্সেস সেন্টার। আধুনিক বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতীতে নুতন রূপ ধারণে ভূমিকা রাখবে এই ই-রিসোর্স সেন্টার। সকল বিশ^বিদ্যালয়ে লাইব্রেরী রয়েছে। লাইব্রেরীতে সংগ্রীহিত বই একটি আবদ্ধ ঘরের মতো হলেও ই রিসোর্স এর বিস্তার থাকবে পুরো বিশ্বজুড়ে। এক কক্ষে বসে দেশী বিদেশী বই, প্রত্র-পত্রিকা এবং এ রিসোর্সেওর গ্রাহকবৃন্দ যুক্ত হতে পারবে বিশে^র বড় বড় লাইব্রেরির সাথে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এই ই-রিসোর্সেস সেন্টার উদ্বোধন করেছেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান শতাব্দীতে লাইব্রেরিগুলো আর পুরনো আমলের নিয়মে চলছে না। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে, অবাধ তথ্য প্রবাহের প্রয়োজনীয়তায় তথ্য ও যোগাযোগ উন্নয়নে এবং জ্ঞান অনুসন্ধানকারীদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে এই ই-রিসোর্সেস সেন্টার এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
নতুন প্রযুক্তি বরাবরই আগ্রহের বিষয়। লাইব্রেরি পরিষেবার গুণগত মান উন্নয়ন এবং বই জার্নালসহ বিভিন্ন সংগ্রহশালাকে আরো সহজীকরণ করতে সিকৃবির ই-রিসোর্সেস সেন্টারটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সহজেই ই-বুক, ই-জার্নাল, বিবিলোগ্রাফিক ডাটাবেজ, ই-নিউজপেপার ইত্যাদি পড়তে পারবে। এছাড়া বিশ্বের বড় বড় লাইব্রেরির সাথে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির গ্রাহকবৃন্দ এই ই-রিসোর্সেস সেন্টারের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে ৩০টি কম্পিউটার দিয়ে ই-রিসোর্সটি উদ্বোধন হলেও শীঘ্রই এর কলেবর বৃদ্ধি পাবে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর জানায়, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক সুবীর কুমার পালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান, রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আলমগীর, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম এবং আইসিটি দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম।
এছাড়াও উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন, বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, দপ্তর প্রধানবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা-কর্মীবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ।