আবু বকর ছিদ্দিক রনি, শার্শা প্রতিনিধিঃ
গত শুক্রবার (২৫ই আগস্ট) যশোরের শার্শার গাজীর কায়বা গ্রামে মসজিদে সিলিংফ্যান, লাইট ও মশার কয়েল জ্বালানো নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুয়াজ্জিনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার বাদী হয়ে শার্শা থানায় ৬ জন কে অভিযুক্ত করে অভিযোগ করার পর মামলা রুজু হয়। তারপর আসামীরা অগ্রীম জামিনে এসে ভুক্তিভোগী পরিবারকে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে হুমকী প্রদান করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একই এলাকার ওই মসজিদের সভাপতি মিজানুর রহমান অভিযুক্তদের পক্ষে হয়ে প্রক্যাশে দিবালোকে ভুক্তভোগী পরিবারকে রিতীমত হুমকী দিচ্ছেন। মিজানুর রহমানে বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের নিকট থেকে টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। গত ১লা সেপ্টেবর শুক্রবারে মিজানুর রহমানের হুমকির একটি ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। সেখনে দেখা যাচ্ছে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদের বাহিরে এসে অপেক্ষাকৃত মুছল্লিদের উপর চড়াও হয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রর্দশন করেন।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি হুমকির বিষয় অস্বীকার করেন।
এলাকাবাসী জানান অভিযুক্ত আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা বিভিন্ন মহলকে অর্থ দ্বারা ম্যানেজ করে হুমকী ও ন্যায় বিচারকে বাঁধাগ্রস্ত করছে। আমরা চেয়েছিলাম বিষয়টি আপোষ মিমাংসার মধ্যে দিয়ে গ্রামের গন্যমান্য বাক্তিদের নিয়ে মিটাতে কিন্তু তারা উল্টো টাকা খেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও আমরা তাদের পক্ষে থাকায় আমাদেরকেও হুমকী প্রদান করছে। তাহলে তো আপোষ মিমাংসা হবে না।আমাদের এখন এ ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচারের দাবি প্রসাশনের কাছে।
এ বিষয়ে কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমার জানা মতে তারা আপোষ মিমাংসা করবে, কিন্তু হুমকীর বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানায়নি।
ভুক্তভোগী পরিবার আরো জানান তারা গরীব হওয়াতে সুষ্ঠু বিচারের মুখোমুখি হতে পারছে না। মামলা দায়ের করাতে অভিযুক্ত আসামীরা পুনরায় আমাদের উপর প্রকাশ্য রীতিমতো দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমরা ও আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ও শঙ্খা রয়েছি। তাই নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।