...
বুধবার, মে ১৫, ২০২৪

শার্শার নাভারণ সেবা ক্লিনিককে ডাক্তারের অপচিকিৎসায় প্রসুতি বর্ষা মৃত্যুশয্যায়

যা যা মিস করেছেন

শার্শা প্রতিনিধিঃ

যশোরের শার্শা উপজেলা নাভারণ বাজারে বহু বিতর্কিত সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বর্ষা খাতুন (২০) নামে প্রসূতি অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন। বর্তমান তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তাহার বাড়ী বেনাপোলের রঘুনাথপুর গ্রামের শহিদুল্লাহ মল্লিকের স্ত্রী।

ভুক্তভোগীর স্বামী শহিদুল্লাহ মল্লিক জানান,তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে বেনাপোলের হাটখোলার পল্লী চিকিৎসক রনকের পরামর্শে নাভারণ সেবা ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে আসছিলেন। তাকে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন রনজু আহমেদ নামে একজন ডাক্তার। গত ৩০ জুলাই রাতে বর্ষা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার সিজারিয়ান করেন ডাক্তার সন্দিপ পাল।

গত সোমবার ৩১ জুলাই রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। ওই দিন রাতেই রোগীর স্বজনরা তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখান থেকে জানানো হয় রোগী অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুণরায় অপারেশন করে আইসিইউতে প্রেরণ হয়। যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট মনিরুজ্জামান লর্ড জানান,অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন ওই রোগী। তার পেটের একাধিক অর্গান ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার প্লীহা কিছুটা কেটে বাদ দিতে হয়েছে।

এদিকে,পরে জানা যায়,নাভারণের সেবা ক্লিনিকে রঞ্জু নামে যে ব্যক্তির কাছে চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন বর্ষা ওই রনজু আহমেদ আদতে কোনো ডাক্তারইনা। তিনি নিজের নামের আগে ডাক্তার লিখে রোগী দেখছেন। ডিগ্রি ব্যবহার করছেন ডিএমএফ। অথচ সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই এমবিবিএস ডিগ্রি থাকতে হবে।

শুধু তাই নয়,এ প্রতিষ্ঠানে কোনো অজ্ঞান ডাক্তার নেই। অপারেশন কক্ষে ওটি বয় রোগীকে অজ্ঞান করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজি রিপোর্টে কোনো কনসালটেন্টে বা মেডিকেল অফিসারের স্বাক্ষর নেই। রিপোর্ট ছাড়ছেন এমএকেএসকে সুমন নামে ল্যাব টেকনোলজিস্ট। ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নাসিম রেজা জানান, তার প্রতিষ্ঠানে কোনো অপচিকিৎসা হয়নি। রোগীর স্বজনরা তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই সরকারি হাসপাতালে চলে গেছেন।

কথিত ডাক্তার রজনু আহমেদ তার প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখেন কি না জানতে চাইলে তিনি শারীরিক অসুস্থ বলে ফোন রেখে দেন। ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল জানান,তাদের অভিযান অব্যাহত আছে। ওই প্রতিষ্ঠানে আগেও একবার অভিযান পরিচালনা করে সিলড করা হয়েছে। রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.