চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচনের ভোট পরিস্থিতি ঢাকায় বসে দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় পৌনে ৫ লাখ ভোটারের ১৫৬টি ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুম থেকে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, দেড় হাজারেরও বেশি সিসি ক্যামেরা রাখা হয়েছে নির্বাচনি এলাকায়। প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে আর কেন্দ্র প্রতি দুটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক জানান, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৬টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ১ হাজার ২৫১টি। ১ হাজার ৫৬৩টি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন মনিটরিং করা হচ্ছে। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে মোট চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাইক চলাচলসহ অন্য যন্ত্রচালিত যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশের তিনজন, আনসারের দুইজন সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া অস্ত্র ছাড়া লাঠি হাতে ১০ জন আনসার এবং একজন গ্রাম পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশের একজন ও গ্রাম পুলিশের দুজন অতিরিক্ত সদস্য রাখা হয়েছে।
পুলিশের আটটি মোবাইল টিম ও চারটি মোবাইল স্ট্রাইকিং টিম, র্যাবের চার টিম ও চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে ভোটের এলাকায়।
নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনায় ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুইজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে আসনটিতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।