সিয়াম হাসান ,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৫ বছর পর গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হলো অপারেশন থিয়েটার (ওটি)। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশন মাধ্যমে এ সেবার দ্বার উন্মোচন করা হয়। প্রথমদিনে শাপলা বেগম নামের এক প্রসূতির সিজার করা হয়। বর্তমানে নবজাতক ও মা উভয়েই সুস্থ আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুজ্জামান সফলভাবে গৃহবধূ শাপলা বেগমের সিজার করান। এসময় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিবুল হাসান, গাইনি ডা. ফারহানা মুসরাত দিশা, অ্যানাসথেশিয়া ডা. রিফাত হাসানসহ সব মেডিকেল অফিসার ও নার্সরা তাকে সহযোগিতা করেন।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ফুলছড়ি উপজেলা হাসপাতালটি চালু হয়। পরে হাসপাতালটি ২০১৪ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রসূতি স্বাস্থ্য সেবায় জনবল সংকট থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন চালু ছিল না। গাইনি ও অ্যানাসথেশিয়া বিশেষজ্ঞ না থাকায় দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও অচল পড়েছিল অপারেশন থিয়েটার। অবশেষে গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এ সংকট সমাধান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশন থিয়েটারটি সচল করে।
স্থানীয়রা জানান, কোনো প্রসূতি মায়ের অবস্থার অবনতি হলে বা সিজারের প্রয়োজন হলে আগে বিভাগীয় শহর রংপুর ও জেলা শহরে গাইবান্ধায় যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় ছিল না। বর্তমানে হাতের নাগালে এ ব্যবস্থা চালু করায় কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সিজারিয়ান সেবা পাওয়া যাবে। এ ব্যবস্থা আরও বেগবান করতে ও মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সিজার সেবায় সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুজ্জামান বলেন, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর প্রথম সিজারে আমরা সফল হয়েছি। এ সফলতায় হাসপাতালের সব ডাক্তার ও নার্সরা সহযোগিতা করেছেন। ওটি শেষে প্রসূতিসহ নবজাতককে হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এখানেই প্রসূতি এবং নবজাতককে সেবা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ফুলছড়ি উপজেলা হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন স্যারের আগ্রহের মাধ্যমে ওটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য তাকেসহ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।