প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি দেয় বর্ষাকাল। তবে এ ঋতুতে নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। এর মধ্যে একটি হল, হাতের ত্বকের খোসা ওঠা। অনেকেই এ সমস্যায় ভোগেন। সাধারণত এ ধরনের সমস্যা কয়েকদিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়। অনেক সময় সমস্যা আরও তীব্রতর হয়। হাতে জ্বলাপোড়া, চুলকানি, লালভাব হয়। যারা এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন তারা ঘরোয়া কিছু সমাধান অনুসরণ করতে পারেন।
ত্বকের খোসা উঠা কী কারণে হয়?
ডিহাইড্রেশন, রোদে পোড়া, অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা, ঘন ঘন হাত ধোয়া, রাসায়নিকের সংস্পর্শ, ভিটামিনের ঘাটতি, শুষ্ক ত্বক, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, একজিমা, এরিথ্রোডার্মার মতো অসুখে ত্বকের চামড়া ওঠে।
ঘরোয়া প্রতিকার
সমস্যাটি সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যায়। হাতে অত্যাধিক জ্বালা,চুলকানি বা লালভাব হয়ে থাকলে সহজ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
হাইড্রেট থাকুন: ত্বকের খোসা ছাড়ানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির মধ্যে একটি হল পানির অভাব। এর জন্য নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। পানীয় জল ছাড়াও ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে তরমুজ, শসা ইত্যাদি ফল এবং শাকসবজি খেতে পারেন।
মধু: মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। ত্বকের খোসা ছাড়ানোর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এটি বেশ কার্যকর। আরও ভালো ফলের জন্য মধুতে ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে খসখসে ত্বকে লাগাতে পারেন। এটি চুলকানি ও জ্বালাপোড়া দূর করে। এর পাশাপাশি ত্বকের খোসা ছাড়ানোর সমস্যাও দ্রুত কমে যাবে।
গরম পানি: ত্বকের খোসা ছাড়ানোর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হালকা গরম পানি খুবই কার্যকর। এর জন্য আপনি হালকা গরম পানি দিয়ে হাত ধুতে পারেন। পাশাপাশি গোসলের জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। এটি শুষ্ক এবং ফ্ল্যাকি ত্বক থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
নারকেল তেল: নারকেল তেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এটি শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায়। আক্রান্ত স্থানে নারকেল তেল লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন।
মসলাদার খাবার খাওয়া বন্ধ করুন: ঝাল-মসলা ও ভাজা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। উল্টোপাল্টা খাবার ত্বক ও শরীরের উপর প্রভাব ফেলে। এছাড়াও, ডায়েটে চিয়া বীজ, তিসি, বাদাম, দই ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।