ন্যাম সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি, এই সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যেকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশু ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৯-২০ জানুয়ারী উগান্ডায় অনুষ্ঠেয় পরবর্তী ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের জন্য উত্থাপিত প্রস্তাবনায় এটি বলা হয়েছে। শীর্ষ সম্মেলনের নথিতে, অনেক অনুচ্ছেদে ন্যাম পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শান্তি, সংস্কৃতি, এসডিজি, শান্তিরক্ষা, শান্তি স্থাপন, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত সমস্যাগুলির মতো বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ও অবদানের প্রশংসা করেছেন। আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত ন্যাম সিনিয়র কর্মকর্তাদের বৈঠকে আজ ‘শীর্ষ সম্মেলনের নথি’ চূড়ান্ত করা হয়েছে। নথিটি ০৫-০৬ জুলাই ন্যাম মন্ত্রীসভায় গৃহীত হবে।
মন্ত্রী পর্যায়ের ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই সভাটি পরবর্তী ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা এবং সেই শীর্ষ সম্মেলনে চূড়ান্তভাবে ‘সামিট ডকুমেন্ট’টি গৃহীত হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের নথিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ভাষাগুলো বহুপাক্ষিকতার প্রতি আমাদের দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি এবং আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈদেশিক নীতিকে প্রতিফলিত করে, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো প্রতি বৈরীতা নয়’- যা এর মূল নীতিকে প্রতিফলিত করে।