বুধবার, মে ১, ২০২৪

টাইটানিকের মতই শেষ পরিনতি হল সাবমেরিন টাইটানের মারা গেছেন সব আরোহীই

যা যা মিস করেছেন

আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সাবমেরিনের সব আরোহীই মারা গেছেন। তাদের মরদেহ পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সবার মনে জল্পনা-কল্পনা। তবে মার্কিন কোস্টগার্ড বলছে, মরদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। খবর বিবিসির।

পাঁচ-ছয় দিন ধরেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হারিয়ে যাওয়া ডুবোযান টাইটান। রোববার (১৮ জুন) ওশানগেটের সাবমারসিবল ডুবোযান টাইটান পাঁচ আরোহী নিয়ে কানাডা উপকূলীয় আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে যায়। এর ঠিক পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে এটিকে খোঁজার সব রকমের চেষ্টা চালান মার্কিন কোস্টগার্ডের পাশাপাশি কানাডার কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

১৯১২-র এপ্রিলে উত্তর আটলান্টিকে বিরাট একটি হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় বিলাশবহুল টাইটানিক জাহাজ। দুর্ঘটনায় যাত্রী ও ক্রু মেম্বার মিলিয়ে প্রাণ হারায় প্রায় দেড় হাজার জন। সেই জাহাজেরই ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ১০০ বছরেও পর আবারও প্রান হারান ৫ অভিযাত্রীক।

গত রবিবার কানাডার সাউথ হ্যাম্পটনের সেন্ট জন্স থেকে পাঁচ অভিযাত্রীকে নিয়ে আটলান্টিকের পানিতে ডুব দেয় সাবমেরিন টাইটান। পানির নীচে যাওয়ার পৌনে দু’ঘণ্টার মধ্যেই দিক নির্দেশকারী জাহাজ বা কমান্ড শিপ ‘পোলার প্রিন্স’-র সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায় ‘টাইটান’-র। দুর্ঘটনার চারদিনের মাথায় অভিশপ্ত টাইটানিকের কাছে ওই ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন উদ্ধারকারী সংস্থা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওই গভীরতায় পৌঁছে জলের প্রবল চাপ সহ্য করতে পারেনি টাইটান। এই ধরনের ডুবোজাহাজ কার্বন ফাইবার এবং টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়। যদি তাতে কোনও ত্রুটি থাকে বা কোনও ভাবে চিড় ধরে তা হলে দুমড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে ধারণা।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security