মাত্র ৮০ সেকেন্ডেই অস্ট্রেলিয়ান রক্ষণকে বোকা বানিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এটি মেসির ক্যারিয়ারে দ্রুততম গোল। শুধু গোল করেই নয়, ড্রিবলিংয়ের চিরচেনা জাদুতেও এদিন মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকা। মেসির জাদুকরি দিনে আর্জেন্টিনার ২-০ গোলের জয়ে ৬৮ মিনিটে পরের গোলটি করেন গেরমান পাৎসেয়া। ৭১ মিনিটে হুলিয়ান আলভারেজের শট অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেওয়ায় তৃতীয় গোলটি পাওয়া হয়নি আর্জেন্টিনার।
বাঁ পায়ের জাদুতে আর্জেন্টিনার এগিয়ে যেতে সময় লাগে মাত্র ২ মিনিট। অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার ম্যাথিউ লেকির ভুলে বল পান এনজো ফার্নান্দেজ। চেলসি তারকা বল বাড়ান মেসিকে উদ্দেশ্য করে। ডি-বক্সের একটু বাইরে বল পেয়ে ট্রেডমার্কে বাঁকানো শটে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেসির এই গোলেই আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। শুরুতে এগিয়ে গিয়ে আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। পরের কিছু সময় অস্ট্রেলিয়াকে কোনো সুযোগ না দিয়ে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ান রক্ষণকে রীতিমতো তটস্থ করে রাখেন মেসিরা। ৫ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৯ মিনিটে মেসির শট সাইড নেটে লাগে। অস্ট্রেলিয়া দু-একবার আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করলেও আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডারদের প্রেসিংয়ে আক্রমণগুলোকে পরিণতি দিতে পারছিল না তারা।
২৮ মিনিটে অবশ্য দারুণ একটি সুযোগ এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার সামনে। জর্দান বসের কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে কাছাকাছি জায়গা থেকে শট নেন মিচেল ডিউক। প্রথম প্রচেষ্টায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ঠেকানোর পরও বল ফিরে আসে পোস্টে লেগে। এরপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ফের দলকে রক্ষা করেন মার্তিনেজ।