এক ঘেঁয়ে জীবন ঘানি টানতে এক সময় মন চায় চির পরিচিত এ পরিবেশ হতে দূরে কোথাও অন্য কোনো স্থানে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে। কিন্তু মানুষের জীবনে সে সময় বা কোথায়? সেই বিশাল উদার সবুজের প্রান্তর। যেখানে উদারতা মাখামাখি সে যেন স্বর্গ তখন মনে হয় আমি ফেলাম। হে আমি পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙামাটি জেলার কথা বলছি। যাত্রা শুরু করলাম দুইটায়। যখন রাঙামাটি জেলায় পৌঁছলাম তখন বিকেল ৪টা। আমাদের বাস চলছে সুষম গতিতে। বাসে সাউন্ড আর সবুজের পাহাড় আমার মন ভোলায়। তখন হঠাৎ আমার পাশে বসা লোকটি একটি গান শুনতেছিল। তখন আমারও মনে পড়ে যায় এশিয়া মহাদেশে সর্বপ্রথম নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা, রাঙামাটির পথ। রাস্তার পাশে সারি সারি বেড়ে ওঠা বৃক্ষাদির অপার সবুজের বুক চিরে চলেছে আমাদের বাস। এরপর যত এগুতে থাকি তত সৌন্দর্য আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। আমাদের বহনকারী বাসের জানালা দিয়ে দেখতে পাচ্ছি আমাদের অনেক ফুট নিচে স্তরে স্তরে রয়েছে খেত ভরা ফসল। এইভাবে দেখতে দেখতে কখন যে পৌঁছে গেলাম গেলাম মনে ছিল না। ইচ্ছে করে আরো যদি অনেক দূর হতো তাহলে উপভোগ করতে পারতাম রাঙামাটির সৌন্দর্য।
রাতে খেয়ে শুয়ে পড়লাম কিন্তু নতুন জায়গা ঘুম আসছিল না। জানালা দিকে চেয়ে দেখি, পূর্ণিমার রাত, জ্যােৎস্না এসে লাগল মুখে। বাইরে তাকিয়ে দেখি কি চমৎকার দৃশ্য!! মনে হচ্ছে সারাজীবন যেন কাটিয়ে দি রাঙামাটিতে। এইভাবে দেখতে দেখতে রাত দুইটা বেজে গেল ঘুমিয়ে পড়লাম আমিও। এরপর সকালে নাস্তা করার পর আবার বের হলাম বেশ সৌন্দর্য কয়েকটি জায়গায় ঘুরে আসলাম। সেখানে ঝরনা, পাহাড়, বনানী এক হয়ে যেন তিলোত্তমায় পরিণত হয়েছে। তখন গাইতে ইচ্ছে করছিল ‘ এমন দেশটি কোথাও খোঁজে পাবে নাকো তুমি….! সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি।