নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে দুই শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট ও ঘোড়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহতরা হলেন শামীম হোসেন (৬২), মো. সোহাগ (১৪), ইয়াছিন আলী (৮), বাবু মিয়া (৬৫), মো. শুভ (২২), ফারুক হোসেন (৬০), আজগর আলী (৪২)। এদের মধ্যে রেলওয়ের সাবেক কর্মচারী ফারুক হোসেনকে (৬০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ফেরিওয়ালা আব্দুস সাত্তার জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুমানিক ৬টার দিকে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ঘোড়াঘাট এলাকায় একটি পাগলা কুকুর হঠাৎ ঢুকে পড়ে। এরপর রাত ৮টা পর্যন্ত ঘোড়াঘাট ও পাশের গোলাহাট এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানপাটের সামনে অবস্থানরত মহল্লাবাসী ও শিশুদের কামড়াতে থাকে। এতে দুই শিশুসহ ১৫ জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে আহত করে। এ ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কুকুর কামড়ানোর প্রতিষেধক টিকা না থাকায় তাঁরা চিকিৎসার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে যায়। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সৈয়দপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান সরকার মুন্না ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে পৌরসভায় কুকুর কামড়ানোর রোগীদের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। ফলে আহতদের নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে করে আক্রান্ত ব্যক্তি ও স্বজনরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. নাজমুল হুদা বলেন, শুক্রবার রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ১০ জন কুকুর কামড়ানো রোগী জরুরী বিভাগে আসে। হাসপাতালে এসব রোগীদের প্রতিষেধক টিকা না থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।