...
শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪

জবি শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে পিকনিকের চাঁদা উত্তোলন

যা যা মিস করেছেন

শেখ শাহরিয়ার হোসেন, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র আটকে রেখে বাধ্যতামূলকভাবে পিকনিকের চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর পিকনিক বা বার্ষিক বনভোজনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও মানবিক বিবেচনায় অনেক শিক্ষার্থীকে নেয়া হয়। পরবর্তীতে সেই টাকার জন্য তাদের চাপ দেয়া হয়। এমনকি এই টাকার জন্য সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফি দেয়ার পরও শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের জন্য বনভোজনের আয়োজন করে থাকে। সেখানে শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা ধরা হয়। সেই টাকা অনেক শিক্ষার্থীরই সাধ্যের বাইরে থাকে। মানবিক বিবেচনার কথা বলে বিভাগগুলো সেই সময় চাঁদার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ছাড় দিলেও পরীক্ষার আগে সেই টাকা আদায়ের জন্য পরীক্ষার এডমিট কার্ড আটকে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যানসহ বেশ কয়েকটি বিভাগে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভর্তি ও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করলেও যেসব শিক্ষার্থী পিকনিকের চাঁদা দেয়নি তাদের এডমিট কার্ড বিভাগে আটকে রাখা হয়। অন্যদের এডমিট কার্ড দেয়া হলেও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করেও এডমিট কার্ড না থাকা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক বনভোজনে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আকরাম উজ্জামান বলেন, ‘এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কোনো শিক্ষার্থী যেতে চাইলে যাবে, নইলে যাবেনা। সবার অংশগ্রহণের জন্য আমরা বলে থাকি।’

বনভোজনে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী পিকনিকে গিয়েছিল এবং পিকনিক কমিটিতে যারা ছিল তাদের সাথে কথা বলো। আমি কিছু বলতে পারছিনা।’ এই কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

পরীক্ষার ফি পরিশোধ করার পরেও বনভোজনের টাকার জন্য বিভাগগুলো এডমিট কার্ড আটকে রাখতে পারবে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘এডমিট কার্ডের সাথে শুধুমাত্র পরীক্ষার ফি এর সম্পর্ক। কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফি পরিশোধ করলেই সে এডমিট কার্ড পাবে। কোনো জরিমানা বা বিলম্ব ফি তো সে তার সাথেই দিয়ে দেয়। এর সাথে অন্য কোনো ফি বা টাকার জন্য এডমিট কার্ড আটকে রাখার কোনো নিয়ম নেই। আমরা বিভাগগুলোকে এডমিট কার্ড দিয়ে দেই। তারা কিজন্য আটকে রাখবে সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারছিনা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কিংবা নিয়ম-নীতিমালায় বনভোজনের বাধ্যতামূলক কোনো নিয়ম আছে কিনা জানতে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘এমন কোনো নিয়ম নেই।’

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.