স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোর
দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্রান্তিলগ্নে ও বিজয়ের সন্নিকটে নিশ্চিত পরাজয়ের শেষ পেরেকঠোকার প্রাক মুহুর্তে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে মেধাশূন্য করতে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর গণহত্যা চালায়। পরবর্তীতে এই দিবসকে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
দিবসটিকে স্মরণ করে ঢাকার বুদ্ধিজীবি কবর স্থানের ন্যায় যশোরের রায়পাড়াস্থ বধ্যভূমিতেও সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল আটটায় বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
যশোরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহরের রায়পাড়াস্থ বদ্ধভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, প্রেসক্লাব যশোর, যশোর সংবাদপত্র পরিষদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, আওাোমী লীগ , বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দসহ
যশোরের প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে শপথবাক্য পাঠ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা।
মহান শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন আয়োজন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার। বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য দিয়ে সাজানো হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
সন্ধ্যা ৬ টায় জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, আওয়মী লীগের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ। সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাউদদৌলা, সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম মনির, বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহা বেগম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ সাঈদ বুলবুল, ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিপংকর দাস রতন।আলোচনা সভার পর যশোর ইন্সটিউট নাট্যকলা সংসদ মঞ্চায়ন করে নাটক কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প।