সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলোকে প্রযুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রলারে বসানো হচ্ছে গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন (জিএসএম)। এই প্রযুক্তির সাহায্যে অফিসে বসেই মৎস্য কর্মকর্তারা ট্রলারগুলোর অবস্থান শনাক্ত করতে পারবেন। ফলে কোনো ট্রলার বিপদে পড়লে দ্রুত তার সাহায্যে এগিয়ে যেতে পারবেন উদ্ধারকারীরা।জানা গেছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই ট্রাকিং মেশিনগুলো বসানোর কাজ শুরু হবে আগামী মাসেই। যেসব নৌযানের বৈধ সনদ আছে শুধু তারাই এই প্রযুক্তি সহযোগিতা পাবেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে ব্যান্ডইউথ নিয়ে এই মেশিনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। ফলে গভীর সমুদ্রে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, সেখানেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে ট্রলারগুলো।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, সমুদ্রগামী জেলেদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিটি ট্রলারে একটি করে জিএসএম মেশিন বসিয়ে দেব। সেই মেশিনের সাহায্যে অফিসে বসেই আমরা দেখতে পাব ট্রলারগুলোর অবস্থান। ফলে তারা কোনো ধরনের দুর্ঘটনায় পড়লে দ্রুত তাদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
আমাদের বরগুনা (দ.) সংবাদদাতা মইনুল আবেদীন খান জানান, উপকূলীয় জেলা বরগুনায় শুধু সামুদ্রিক নিবন্ধিত ও শতভাগ ফিটনেস সনদ আছে এমন ট্রলার রয়েছে ১ হাজার। এর মধ্যে জিএসএম এর আওতায় আনা হচ্ছে ৮৫০টি ট্রলার। এ প্রকল্পের আওতার বাইরে থাকবে আপাতত ১৫০টি সামুদ্রিক ট্রলার। খুব শিগ্গিরই কার্যক্রম শুরু হবে।বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, প্রতি বছরই ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, সাগরে গভীর নিম্নচাপসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। অনেক সময় দুর্যোগের সতর্কবার্তা পৌঁছায় না জেলেদের কাছে। যে কারণে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও জেলেরা নদী বা সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। তখন ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের প্রাণ হারাতে হয়। তাই উপকূলের জেলেদের সুরক্ষায় এবং তাদের কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছাতে জিএসএম সিস্টেম চালু হচ্ছে।