গত তিন বছরে (২০১৯-২১) বখাটের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে ৪৪ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন। এ সময়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৬৬৪ জন।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সংস্থাটির হিসেবে, ২০১৯ সালে বখাটের হাতে হয়রানির শিকার হয়ে ১৮ নারী, ২০২০ সালে ১৪ এবং ২০২১ সালে ১২ জন আত্মহত্যা করেন। এ ছাড়া চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ৪ জন আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে বেসরকারি সংগঠন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ২০২০ সালের এক জরিপ বলছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ নারী কখনো না কখনো উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন।এ বিষয়ে আসকের পরিচালক ও মানবাধিকার আইনজীবী নীনা গোস্বামী গণমাধ্যমকে বলেন, ঘরে-বাইরে সব জায়গায় নারীরা উত্ত্যক্তের শিকার হন। এগুলো খুব কমই সামনে আসে। আর মামলার বেশির ভাগেরই রায় আসে না। কারণ, এগুলোর সাক্ষী পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধে অবশ্যই সচেতনতা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বাড়ানো দরকার।
বখাটেরা শাস্তির আওতায় এলে উত্ত্যক্তকরণের সংখ্যা কিছুটা কমবে বলেও মনে করেন আসকের এই পরিচালক।