মোটরসাইকেলের মাইলেজ বলতে বাইকটি এক লিটার জ্বালানিতে কত কিলোমিটার পথ চলতে পারে সেটা বোঝায়। আমরা বাইক কিনি কম খরচে চলাফেরার জন্য। মাইলেজ যদি হুট করেই কমে যায় তাহলে তা বেশ বিড়ম্বনার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
মাইলেজ কমেছে কিনা তা বুঝতে হলে আগে বের করতে হবে আপনি কত মাইলেজ পাচ্ছেন।
সহজ একটা পদ্ধতি আছে বোঝার। প্রথমে বাইকটি ফুল ট্যাংকি জ্বালানি ভরুন। খেয়াল রাখুন, মিটারে কত কিলোমিটার রানিং দেখাচ্ছে এবং কত লিটার তেল ভরলেন। তারপর একেবারে রিজার্ভে আসার আগ পর্যন্ত চালান। রিজার্ভে আসার পর দেখুন বাইকটি কত কিলো চলেছে। এভাবে আপনি বেশ নিখুঁতভাবে মাইলেজ হিসেব করতে পারবেন।
এবার জানুন মাইলেজ কমার সাধারণ কারণগুলো সম্পর্কে।
মোটরসাইকেলের চাকা ঠিকমতো ঘুরছে কিনা পরীক্ষা করুন। অনেক সময় ব্রেক অতিরিক্ত টাইট থাকার কারণে চাকা জ্যাম হয়ে যায়। চাকা কম ঘোরে। আবার চাকার বেয়ারিং ভেঙে গেলেও চাকা জ্যাম হয়ে কম ঘোরে। আর চাকা জ্যাম থাকলে একই গতিতে ইঞ্জিনে বেশি চাপ বহন করতে হবে। চেইন অতিরিক্ত টাইট থাকাও চাকা জ্যামের কারণ। সেই সঙ্গে চেইন নিয়মিত পরিষ্কার না করা বা লুব্রিকেন্ট না দেয়া হলেও মাইলেজে কিছু কমতি দেখা যায়।
দুর্বল পিস্টন-রিংয়ের কারণেও অনেক সময় মাইলেজ কমে যায়। ভালভ ক্লিয়ারেন্স শক্তি ও মাইলেজ কমিয়ে দেয়ার আরেকটি বড় কারণ। এটি ট্যাপেড অ্যাডজাস্ট নামে পরিচিত। অতিরিক্ত টাইট ভালভ ইঞ্জিনের শব্দ কমিয়ে দেয় ঠিকই, কিন্তু টাইমিং চেইনের উপর এর প্রভাব পড়ে। এছাড়া চাকায় হাওয়া কম থাকলে এবং কার্বুরেটর টিউনিং সঠিকভাবে না হলেও মাইলেজ কমে।