বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, শুধুমাত্র বিএনপির সভা-সমাবেশ ঠেকাতেই সরকার সারাদেশে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কি না, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন এবং সংশয় রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। আন্দোলন দমানোর জন্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক মামলায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হচ্ছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সরকার এ ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তিনি বলেন, টিকা ও করোনা সামগ্রী নিয়ে কেলেঙ্কারি ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি সরকার। সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারলে দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তো না।
রিজভী আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩০ পার্সেন্ট লোককে। অথচ করোনা মহামারি শুরু হয়েছে প্রায় দুই বছর। যদি শুরুতেই সরকার উদ্যোগ নিতো তাহলে এরইমধ্যে প্রায় শতভাগ করোনা টিকা দেওয়া সম্ভব হতো। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশই ৬০ ভাগের উপরে টিকাদান সম্পন্ন করেছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, শুধুমাত্র বিএনপির সভা-সমাবেশ ঠেকাতেই সরকার নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কি না, তা নিয়েই জনগণের কাছে প্রশ্ন রয়েছে, সংশয় রয়েছে। কারণ, সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে এবং ১৪৪ ধারা ভেঙে সভা-সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেছে মানুষ। এতে সরকার আতঙ্কিত। যতই চক্রান্তের জাল ফেলা হোক না কেন, এ অবৈধ সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না।