তানভীর আহমেদ: তাহিরপুর (সুুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
‘সুনামগঞ্জের হাওর বেষ্টিত তাহিরপুর উপজেলার ছোট-বড় ২৩টি হাওরের ফসলি জমি গুলোতে চলছে এখন বোরো ধানের চারা রোপন কাজ। পৌষ মাসের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে বোরো ধানের চারা রোপন কাজ। হাওরের জমি গুলোতে মাঘ মাস পর্যন্ত চলবে বোরো ধানের চারা রোপন। একদিকে ডিজেল, কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধি, অন্যদিকে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। তবে ফসলের ন্যায্য মূল্য মিলবে কি না সেই শঙ্কাও দেখা দিয়েছে কৃষকদের মনে। সকালের শীত উপেক্ষা করে বিকাল অবধি ফসলি জমিতে চারা রোপন, জমিতে হাল-চাষ, জৈব সার বিচরণ, জমিতে সেচ দেওয়া সহ নানান কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন হাওরাঞ্চালের কৃষক ও দিনমজুররা।’
‘উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে তাহিরপুর উপজেলায়, ১৭ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ।’
‘দিনমজুর আব্দুস শহীদ বলেন,‘জমি অনেক আগেই ভাইসা (শুকিয়েছে) গেছে, কিন্তু পৌষ মাস না আসায় কৃষকরা ধানের চারা রোপন করতে রাজি হয় নি। এখন পৌষ মাস চলছে জমিতে কৃষকরা ধানের চারা রোপন করছেন। পাশাপাশি আমরাও প্রতিদিন রোপন কাজে যেতে পারছি।’
‘একইভাবে পাঠাবুকা গ্রামের কৃষক রিপছন হাবিব বলেন,‘ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর জমিতে হাল-চাষ করতে খরছ অনেকটা বাড়ছে, কারণ চলতি বছরে ডিজেল,কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে সব কিছুইতো প্রযুক্তি নির্ভর। তবে আমরা যদি বৈশাখ মাসে ফসলের ন্যায্য মূল্য পাই তাহলে সেই বাড়তি খরছ টা পোষাতে পারবো।’
‘মহালিয়া হাওরের কৃষক রইছ মিয়া বলেন, ‘এবছর হাওর থেকে পানি দ্রুত চলে যাচ্ছে। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কিছুটা পূর্বেই শুরু হয়েছে রোপন কাজ।’
‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসান-উদ-দৌলা বলেন,‘ হাওরে বোরো ফসলের রোপন চলমান আছে। আমরা আশাবাদী যে, তাহিরপুর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জিত হবে।’
