দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ব্যাংক হিসাবে মোটা অঙ্কের টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। টাকা জমা দেওয়ার সময় আবেদনে একটি মামলার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই মামলার কারণেই টাকাগুলো জমা দেওয়া হলো। সেই মামলার প্রধান আসামি রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। মামলার মোট আসামি ১৪ জন। তবে টাকা জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করছেন না মামলায় আসামি থাকা কেউ।

১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঠিক সমপরিমাণ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে ব্যাংকের হিসাবে। এ মামলার এক আসামির নাম শওকত আলী। তিনি একজন ঠিকাদার। ব্যাংকে টাকার জমাকারী হিসেবে তার নাম লেখা হয়েছে। তবে শওকতের দাবি, তিনি টাকা জমা দেননি। তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

শিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংকের গ্রেটার রোড শাখায় টাকাগুলো জমা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকের ওই শাখার ব্যবস্থাপক তারিক হাসান।
তারিক হাসান বলেন, দুদকের একটি মামলার বিবরণ দিয়ে টাকাগুলো জমা করা হয়েছে। জমাকারী হিসেবে শওকত আলী নাম লেখা আছে। কিন্তু আমরা তাকে চিনি না। কাউন্টারে অনেক মানুষই টাকা জমা দেয়, সবাইকে চিনে রাখা সম্ভব নয়। টাকা জমা হওয়ার পর শিক্ষাবোর্ডকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। আজই (মঙ্গলবার) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।

শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, আমি কয়দিন আগে দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টা সম্পর্কে শুনেছি, অফিশিয়ালি কোনো কাগজ পাইনি।

আবুল কালাম আজাদ ২০১৪ সালের ১০ জুলাই শিক্ষাবোর্ডের সচিব হন। এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ২০১৯ সালের জুনে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান শেষে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মামলা করে। মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে চারজন ঠিকাদার এবং অন্যরা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ওই মামলায় এরই মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি টাকা ফেরত দিয়ে মামলা থেকে আসামিদের দায়মুক্তির জন্য আবেদনও করা হয়েছে। কে আবেদন করেছেন তা দুদক স্পষ্ট করে জানায়নি। এখন মামলা বিচারাধীন অবস্থায় টাকা ফেরত দিয়ে দায়মুক্তির সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা। তবে রায়ের সময় আদালত এটি বিবেচনা করতে পারেন।

ঠিকাদার শওকত আলী বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের পাওয়া কয়েকটি কাজ না করেও বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। তবে সব কাজই করা হয়েছিল। এখন কে টাকা ফেরত দিয়েছে সেটা আমি বলতে পারব না। আমি টাকা জমা দিইনি।

সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি অসুস্থ, ঢাকায় থাকি। আমি কোনো টাকা ফেরত দিইনি। কে টাকা জমা দিয়েছেন তাও জানি না। মামলার অন্য আসামিরাই এখন মামলা দেখে, তারা দিয়েছে কি না সেটাও জানি না।

মামলার আসামি শিক্ষাবোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক নেসার উদ্দীন আহমেদ বলেন, কে টাকা জমা দিয়েছে তা আমিও জানি না। আমি তো শুধু মামলার দিন আদালতে হাজিরা দিতে যাই।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version