এম এইচ রনি, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে রবিবার ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবি সদস্য নিহতের ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে । আটকের ভয়ে পশ্চিম দলিরাম গ্রাম সহ পাশ্ববর্তী গ্রামের নারী-পুরুষ পালিয়ে গেছে। সহিংস ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ৩ জন সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে রাত সাড়ে ৯টায় ভোট গননার পর লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে। পরে কর্মরত পোলিং, পিজাইডিং অফিসার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকে তারা অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে সমর্থকদের সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এর পরেও বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা হামলা চালায় । এ সময় রংপুর ৫৬ ব্যাটেলিয়ান বিজিবির ল্যান্স নায়েক মোঃ রুবেল মন্ডল (৩৭) ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনার পরেই ওই এলাকা জনশুন্য হয়ে পরে। পুলিশ গতকাল রাত থেকে ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। রাতেই নিহত বিজিবি সদস্য রুবেলের লাশ সুরুতহাল করে তার গ্রামের বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সহিংস ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে। কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আউয়াল জানান, মামলার প্রস্ততি চলছে। ঘটনাটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান ও এডিশনাল ডিআইজি ওয়ালিদ আহমেদ সহ একটি টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, পশ্চিম দলিরাম গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৫), পূর্ব গাড়াগ্রামের মোহম্মদ আলীর ছেলে নুরুন্নবী (৩০) ও একই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে হাদি (২৩)।