রাজশাহী সিটি গেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানো নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর শাস্তি চেয়ে মাঠে নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এক মানববন্ধনে তার শাস্তি চেয়ে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা। এছাড়া বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় রাজশাহীতে মামলাও হয়েছে আব্বাস আলীর নামে।
বিষয়টি নিয়ে মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে আগামী শুক্রবার বিকালে জরুরি সভা ডেকেছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা জানান, আব্বাসের বক্তব্য তদন্ত করে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, বিষয়ে জানতে ওই বৈঠক থেকে কেন্দ্রে চিঠি পাঠানো হবে।
এখন আব্বাসের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত হবে তা শুক্রবার নাগাদ জানা যাবে। এর আগে, তার আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। বুধবার সকালে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আব্বাসকে দল থেকে বহিষ্কার ও মেয়র পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ডা. আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিক, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
এদিকে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মেয়র আব্বাস আলীর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল মোমিন বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। আলামত হিসেবে মেয়র আব্বাসের ভাইরাল হওয়া বক্তব্যের একটি সিডি পেয়েছেন তারা।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে নগরীর বোয়ালিয়া, রাজপাড়া ও চন্দ্রিমা থানায় মামলার জন্য এজাহার দেওয়া হয়। তবে একই অভিযোগ হওয়ায় বোয়ালিয়া থানার অভিযোগটি মামলা হিসাবে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস।