দেশে সবার দোড়গোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার, প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার মোট ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সব মানুষের জন্য করোনার প্রতিষেধক টিকা নিশ্চিত করা হবে। এজন্য যত টাকা লাগে, আমরা ব্যয় করব।সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেন। টিকা দিলেও করোনার সংক্রমণ হতে পারে। সেজন্য সবাইকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র পাঁচটি হচ্ছে হবিগঞ্জের জুলদায় বিবিয়ানা-৩ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ইউনিট-২, নারায়ণগঞ্জে মেঘনা ঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট, বাগেরহাটে মধুমতি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উত্তরণ।
দেশবাসীকে বিদ্যুৎ খরচের বিষয়ে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের অনেক খরচ হয়। কিন্তু, আমরা সবাইকে কম মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি।
২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা দিতে আমরা কাজ করছি। আগামী ২১০০ সালের ডেলটা প্ল্যান করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। জনগণের সহায়তায় আমরা এ সময়েও অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে পেরেছি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ চলছে। বিশ্ব অবাক হয়ে আমাদের অগ্রগতি দেখছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের সাফল্য ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরেন।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে কাজ শুরুর পর সরকার সফলভাবে ২০ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ১১৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছিল। তবে, এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খান, জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিসুর রহমান, বিদ্যুৎসচিব মো. হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান এবং গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়