শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং রোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কী জন্য বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং রোধে নীতিমালা বা দিক-নির্দেশনা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে এই বিষয়টিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আদালত থেকে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার দশম শ্রেণির কিশোর শিক্ষার্থী আজওয়াদ আহনাফ করিম (১৬) বডি শেমিংয়ের শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই ঘটনা তদন্ত করে ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসারকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
রবিবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এসময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
গত ৮ জুলাই ‘মোটা বলে সহপাঠী ও শিক্ষকের লাঞ্ছনার শিকার মৃত কিশোরের পরিবার যা বলছে’ শিরোনামে বিবিসি বাংলায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় অ্যানোরেক্সিয়া এবং বুলিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর পর তার পরিবার অভিযোগ করেছে, স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের বুলিংয়ের শিকার হওয়ার ফলস্বরূপ এই ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট কয়েক হাজার মানুষ শেয়ার করেছেন, যাদের প্রায় সবাই বডিশেমিং, বুলিংয়ের মতো ইস্যুতে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কিশোরের বাবা ফজলুল করিম বলেছেন, তার ছেলের ওজন স্বাভাবিকের চাইতে বেশি হওয়ার কারণে, স্কুলে তাকে প্রায় নিয়মিতই বুলিং ও উপহাসের শিকার হতে হতো। কিন্তু স্কুলে কখনো এ নিয়ে অভিযোগ জানাননি তারা। এখনো বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ জানাতে চান না তারা। তবে পরিবার চায় স্কুলে বুলিং বন্ধ করার জন্য যেন সরকার ব্যবস্থা নেয়।
প্রতিবেদনটি যুক্ত করে এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে বিবাদীদের প্রতি একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। পরে আদালতে রিটের পক্ষে তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন।