মাত্র ৪৫ মিনিটের আলোচনা। তার পরই পদত্যাগ করলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গানি। ক্ষমতা বদল হল আফগানিস্তানে। প্রায় দু’দশক পর আফগানিস্তানে শুরু হচ্ছে তালেবানের শাসন।
কাবুলে হামলা হবে না, এই শর্তে তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে আফগানিস্তান সরকারের। ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্টের বাসভবনে গিয়েছিল তালেবান সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন তালেবান প্রধান মোল্লা আবদুল গানি বরাদর। কাতার এবং আমেরিকার কূটনীতিবিদরাও ছিলেন সেখানে। প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক হয়। সমঝোতা অনুযায়ী, আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন বরাদর গানি।
তালেবান সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘বিদেশিরা চাইলে কাবুল ছাড়তে পারেন। তবে আগামী দিনে কাবুলে থাকতে গেলে তালেবান প্রশাসনের কাছে সব নথিপত্র জমা করতে হবে।’’
গায়ের জোরে বা রক্তপাত ঘটিয়ে নয়, শান্তিপূর্ণ ভাবেই ক্ষমতার হস্তান্তর চায় তালেবান নেতারা, কাবুলের মূল শহরে ঢোকার আগেই সংবাদ মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছিলেন তালেবান গোষ্ঠীর এক মুখপাত্র। তার কথায়, ‘‘সাধারণ মানুষ যেন সহিংসার বলি না হন, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। কাবুলের মানুষের জীবন বিপন্ন হোক, তা একেবারেই চাই না আমরা।’’
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরে রাজি আফগান সরকারও। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, জানিয়েছে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
তালেবান আফগানিস্তান দখল করে নেয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। কেউ উদ্বিগ্ন, কেউ বা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে ব্যস্ত।
এদিকে, দেশ থেকে পালিয়ে তাজিকিস্তানে চলে গেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। সেখানে গিয়ে তিনি তালেবানকেই বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।
তালেবানের কাছে রাজধানী কাবুল ‘পতনের’ মুখে পালিয়ে যাওয়ায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন আশরাফ গানি। তা নিয়ে আবার সাফাই দিয়েছেন তিনি। তার দাবি, রক্তবন্যা এড়ানোর জন্য দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে গানি লেখেন, ‘রক্তবন্যা এড়ানোর জন্য দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তই ভালো বলে মনে হয়েছিল।’
সূত্র: আনন্দবাজার ও আল জাজিরা।