দীর্ঘদিন ধরেই ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন সাকিব আল হাসান। বেশ কিছু বিতর্কও হয়েছে তাকে নিয়ে। এরপরই বোলিংয়ে নিজেকে পৃর্বের ফর্মে খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু ব্যাট হাতে তেমন ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই অনেক দিন পর দেখা গেল বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে দলকে জেতালেন।
তবে আক্ষেপ থেকে গেল তার সেঞ্চুরি নিয়ে। ৩ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে। তবে নিশ্চিত পরাজয়ের ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই সম্ভব হয়েছে।
৯.৩ ওভারে দলীয় ৩৯ রানে দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ মিঠুন। তামিম আউট হওয়ার পর ১১ রানের ব্যবধানে ফেরেন লিটন-মিঠুন।
পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত চতুর্থ উইকেটে সাকিবের সঙ্গে ২৫ রানের জুটি গড়ে ফেরেন সৈকত।
এরপর পঞ্চম উইকেটে সাকিবের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২৬)। মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পর সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন তিনি।
সপ্তম উইকেটে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। ৩৮.৩ ওভারে দলীয় ১৭৩ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন আফিফ (১৫)।
তামিম, লিটন, মিঠুন, মোসাদ্দেক, মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ, আফিফ আউট হলে সাকিবের সঙ্গে দলের হাল ধরেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। অষ্টম উইকেটে তারা ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
দলের জয়ে ১০৯ বলে ৮টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৯৬ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৩৪ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেন সাইফউদ্দিন।
রবিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ওয়েসলি মাধেভেরে। এছাড়া ৪৬ রান করেন অধিনায়ক ব্রান্ডন টেইলর। ৩০ রান করেন সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশ দলের হয়ে তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম শিকার করেন ১০ ওভারে ৪৬ রানে ৪ উইকেট। ৪২ রানে ২ উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।