নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০১৭ সালের নির্মান করা হয়েছিল টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর উপরের শেখ হাসিনা সেতুটি, যা আজ রয়েছে ভাঙ্গন হুমকিতে।
গত দু দিনের বৃষ্টিতেই সেতুর দুই পারের এপ্রোচ সড়কের মাটি ও ব্লক ধসে পড়েছে। বিশেষ করে পূর্ব পাড় অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। এছাড়াও সেতুটির উপরিভাগের বিভিন্ন অংশের ঢালাই উঠে গিয়ে ছোট বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এমনটাই জানান এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাগরপুর-মির্জাপুর-মোকনা সড়কে ধলেশ্বরী নদীর উপর স্থাপিত শেখ হাসিনা সেতুর উভয় অংশে নির্মিত এপ্রোচে গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর পূর্ব পাড়ের উত্তোরাং ধসে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের গাইড ওয়ালের ব্লকগুলো সরে গিয়ে মাটি ধসে পড়েছে। এছাড়াও সেতুর পশ্চিম পাশের এপ্রোচের গর্ত ভরাট করতে গর্তের ২০ ফুটের মধ্য থেকে মাটি নেয়া হয়েছে। সেতুর ঠিক নিচের ভিমের গোড়ার মাটি উত্তোলন করে ভরাট করা হয়েছে এসব গর্ত। এলাকাবাসী অনুযোগের স্বরে বলেন, মাটি দূর থেকে আনলে ভালো হতো।
প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি ২০১৭ সালে উদ্বোধন করা হলেও এর এক বছর না যেতেই সেতুর উপরিভাগের বিভিন্ন স্থানের ঢালাই উঠে গিয়ে সেতুতে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে এবং দায়সারা ভাবে তা রিপেয়ারিং করা হচ্ছে। এভাবেই সেতুর উপর দিয়ে বছরের বেশির ভাগ সময় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করে আসছে যানবাহন।
সেতু ব্যবহারকারী রানা বলেন, দ্রুত সেতু ও এর এপ্রোচ সড়কের সংস্কার প্রয়োজন। রাতের সেতুর লাইটগুলো জ্বালানো প্রয়োজন। গর্ত এবং ভাঙ্গা অংশ মেরামতের আগ পর্যন্ত সতর্কী করন নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন। সেতুর উপরের পুরো ঢালাই তুলে ফেলে নতুন করে মজবুত ঢালাই দেয়া লাঘব করে পারে দূর্ঘটনা ঝুঁকি ও সাশ্রয় করতে পারে সরকারের টাকা।তা না হলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী এস এম আলামিন বলেন, কেদারপুর শেখ হাসিনা সেতুর উপরিভাগের গর্ত ও এর এপ্রোচ সড়কে ধসের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা ইতিমধ্যে সেখানে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমরা সেখানে স্থায়ীভাবে গাইড ওয়াল মেরামত করছি, যাতে বৃষ্টির পানি লিক করতে না পারে। আর ব্রিজের উপরিভাগের গর্তগুলো মেরামত করে দেওয়া হবে।