ফিলিস্তিনের স্বশাসিত সরকারের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ঘোষিত সংসদ নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদসের জনগণ ভোট দিতে পারবে না- এই অজুহাতে তিনি এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন।
শুক্রবার সিনিয়র ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মাহমুদ আব্বাস বলেন, গত ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, ‘আল-কুদসের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তারিখ স্থগিত রাখা হলো।’ পর্যবেক্ষকরা ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত’ হয়ে যাওয়াকে নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য করছেন।
প্রায় তিন মাস আগে মাহমুদ আব্বাস ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ২২ মে ফিলিস্তিনি পার্লামেন্ট এবং ৩১ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদ আব্বাসের নির্বাচন স্থগিত করার ঘোষণার প্রতিবাদে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরের আল-মানারা স্কয়ারে শত শত ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, তারা ফিলিস্তিনে একটি নির্বাচিত সরকার চান এবং জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভাগ্য নির্ধার করতে চায়। এ ছাড়া, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন শহরেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
২০০৬ সালে সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বিজয়ী হয়েছিল এবং সংগঠনের নেতা ইসমাইল হানিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই সে পার্লামেন্ট বাতিল করে দেন মাহমুদ আব্বাস। তারপর থেকে ফিলিস্তিনে আর কোনো নির্বাচন হয়নি।
সূত্র: পার্সটুডে, বিবিসি