প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বিপর্যয় নামিয়ে এনেছে ভারতে। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার এই দেশটি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৫ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৭ জন।
অক্সিজেন-চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। এমনকি মৃত্যুর পর লাশের সৎকার নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছে ভারত।
দিল্লিতে করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৭০০-তে পৌঁছে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শিগগিরই এ সংখ্যা হাজার ছাড়াবে।
শহরের বিভিন্ন শ্মশানের বাইরে রাস্তায় টোকেন নিয়ে মরদেহের দীর্ঘ লাইন। ২০ ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে আগুন পেতে। মরদেহ ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুর।
শ্মশানের দরজায় দরজায় ঘুরে জায়গা না পেয়ে স্রেফ বরফ চাপা দিয়ে ৪৮ ঘণ্টাও বাড়িতে মরদেহ রেখে দিচ্ছেন স্বজনেরা। কুকুরের দেহ পোঁতার জায়গা ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে দাহ করার জন্য।
এরই মধ্যে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বসে গেল আইপিএলের আসর। দর্শকশূন্য মাঠ হলে হবে কী! নিরাপত্তার ব্যবস্থা তো করা চাই! অতএব স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স, করোনা পরীক্ষার যাবতীয় সরঞ্জাম।
দিল্লির সুভাষনগর শ্মশানে টিনের চালের নিচে সারি সারি চিতা জ্বলছে। উড়ছে ছাই। এমনিতে নতুন নয় এই দৃশ্য। উড়ছে ছাই। এমনিতে নতুন নয় এ দৃশ্য। কিন্তু সেই ছাই উড়ে পড়ছে পাশের যে চাতালে? সেই চাতাল ধরেই এখন মরদেহের সর্পিল রেখা। এক ঝলক তাকালেই মাচার সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা অন্তত ১৫-২০টি দেহ চোখে পড়ছে।
প্লাস্টিকের থলিতে মরদেহ মোড়া রয়েছে। তার ওপর নাম, নম্বর লেখা। হাতছাড়া হওয়ার ভয় নেই। তাই একটানা বসে না থেকে পোড়া দেহের গন্ধ এবং ধোঁয়া থেকে বেরিয়ে মাঝেমধ্যে বাইরে ঘুরে আসছেন অনেকে। সূত্র: দ্য হিন্দু, আনন্দবাজার