কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে পবিত্র মাহে রমজান ও তাপদাহকে কাজে লাগিয়ে কিছু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছে। এখানে প্রতি কেজি তরমুজ ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে একটি তরমুজ ক্রেতাদের কিনতে হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
এর প্রতিবাদে সামাজিক যোযোযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদে সরব হয়েছে স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা। এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে প্রশাসন। গণমাধ্যমে এসব খবর দেখে নিজের এলাকায় কেজি দরে তরমুজ বিক্রির প্রতিবাদ জানায়।
‘মোহনগঞ্জ হেলপ লাইন’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে সাফকাত জামিল নামে এক যুবক মোহনগঞ্জে কেজি দরে তরমুজ বিক্রির প্রতিবাদ জানায়। পাশাপাশি ইউএনও’কে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। এই পোস্টের সাতে একাত্মতা জানিয়ে স্থানীয় অনেকে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। অনুরূপ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করে এসিল্যান্ড-ইউএনও’কে ট্যাগ করে আরো অনেক যুবকই ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মোহনগঞ্জের স্টেশন রোডের পাথর ঘাটে অবস্থিত তরমুজের বাজার ঘুরে এর সত্যতা পাওয়া যায়। ওই বাজারে ৮-১০টি তরমুজের দোকান রয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় এখানকার তরমুজ আমদানিকারক নবাব মিয়ার সাথে। তিনিই মূলত খুলনা থেকে তরমুজ আমদানি করে অন্যান্য দোকানির কাছে সরবরাহ করেন।
নবাব মিয়া জানান, খুলনা থেকে এসব তরমুজ পিস হিসেবে কিনে এনে এখানে কেজি দরে বিক্রি করছি। বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে কেজি দরে বিক্রি করায় লোকসান হচ্ছে বলেও তার দাবি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পিস হিসেবে কেনার সময় অনুমান করা যায় না কোন তরমুজটা কত কেজি ওজন হবে। পরে কেজি হিসেবে বিক্রি করে দেখা যাচ্ছে লোকসান হচ্ছে।
তরমুজ ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানায়, কেজি দরে একটা মাঝারি ধরণের তরমুজ ৩০০/৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। অথচ পিস অনুযায়ী এটা ৫০/৬০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। সিন্ডিকেট করে তরমুজরে বাজার এমন করা হচ্ছে বলেও তার অভিযোগ।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জের ইউএনও আরিফুজ্জামান বলেন, আসলে কেজিতে বিক্রি করা কোন অপরাধ নয়। তবে কেজির নামে কারসাজি করে দাম বেশি নিচ্ছে কিনা সেটিই হলো মূল বিষয়। এ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।