মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও গভীরতর হতে থাকা আর্থিক সংকটের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দ্রুত গতিতে বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী মাসগুলোতে সেদেশের লাখ লাখ নাগরিক অনাহারে পড়তে পারে।
জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মিয়ানমারে চালের মূল্য পাঁচ শতাংশ ও ভোজ্যতেলের মূল্য ১৮ শতাংশ বেড়েছে। দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াংগুনে বসবাসকারী পরিবারগুলো খাবার কমিয়ে দিয়ে কম পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছে ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
বিশেষ করে শহরাঞ্চলে উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা খাতে চাকরি হারানো লোকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ায় পরিস্থিতি বেশি খারাপ হতে পারে।
ডব্লিউএফপির এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে মিয়ানমারের ৩৪ লাখের বেশি মানুষকে খাবার সংগ্রহ করতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা মিয়ানমারে তাদের কার্যক্রমের বিস্তার তিনগুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে যার ফলে ৩৩ লাখ নাগরিক সহায়তার আওতায় আসবে এবং এজন্য ১০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের তহবিলের আবেদন জানানো হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মুখপাত্রকে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। এর মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত এনএলডির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। একই দিন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে। সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অং সান সু চিসহ অন্য বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।