কোম্পানীগঞ্জের চলমান সংকট কাটিয়ে শান্তির জনপদে রূপান্তর করতে ১১ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বুধবার ভোররাত সাড়ে ৪টায় তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে ১১ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, কোম্পানীগঞ্জ আমাদের শান্তির জনপদ। আমাদের প্রিয় কোম্পানীগঞ্জে যেন রক্তপাত, সংঘাত, সংঘর্ষ না হয় এ জন্য অস্ত্রমুক্ত, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দখলমুক্ত ও দুর্নীতিবাজমুক্ত কোম্পানীগঞ্জ গড়তে হবে। এরপর তিনি ১১ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
কাদের মির্জার ১১ দফা প্রস্তাবনাগুলো হলো-
১. নোয়াখালীর যে সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিরপেক্ষতা হারিয়েছে তাদের সরিয়ে অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
২. সাংবাদিক মুজাক্কির ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আলাউদ্দিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত বিচার করতে হবে।
৩. আমার ছেলে তাশিক মির্জার ওপর হামলায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
৪. গত তিন মাসে দায়ের করা সকল মামলার দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. নিরপেক্ষভাবে পুলিশের নির্যাতনের মামলার বিচার করতে হবে।
৬. কোম্পানীগঞ্জের আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭. কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
৮. কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
৯. গত তিন মাসে অন্যায়ভাবে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।
১০. গত তিন মাসে যারা কোম্পানীগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১১. যে সকল ঘটনায় মামলা হয়নি যেমন, দাগনভূঁইয়ায় আমার ওপর হামলা, গুলিবর্ষণ এবং চট্টগ্রামের হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি তিনবার মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর কাদের মির্জার সঙ্গে তার দলের বিরোধী পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ দুইজন নিহত হন। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে আদালতে। ৩১ মার্চ নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া তিনি আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবেন না বলেও ঘোষণা দেন।