গ্রেফতার হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচীব মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বগুড়ায় চাকরি গেল মসজিদের ইমামের।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জামে মসজিদের ইমাম মুর্শিদুল ইসলামকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জানা যায়, ইমাম মুর্শিদুল ইসলাম ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের গোলাম রহমানের ছেলে। মুর্শিদুল ইসলাম প্রায় ১২ বছর ধরে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জামে মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি সরকারি কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় ওই সময় ইমাম মুর্শিদুল ইসলাম তার নিজের ফেসবুক আইডিতে মামুনুল হকের পক্ষে পোস্ট দেন। বিষয়টি মসজিদ পরিচালনা কমিটির লোকজন ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের নজরে আসে। পরে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই দিনই মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে ইমামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে এ নিয়ে গত রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), মসজিদ কমিটির সব সদস্য, স্থানীয় মুসল্লি, বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ইমাম মুর্শিদুল ইসলামকে চাকরিচ্যুত করা হয়। সে মোতাবেক মঙ্গলবার মসজিদ কমিটির সভাপতি ও ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসানুল হাছিবের স্বাক্ষরিত চাকরিচ্যুত করার এক পত্র ইমাম মুর্শিদুল ইসলামের হাতে দেওয়া হয়।
ইমাম মুর্শিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ওই সময় মামুনুল হকের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সরকারে বিরুদ্ধে নয়। তারপরও ঘটনার জন্য স্ট্যাটাস মুছে ফেলে সবার কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসানুল হাছিব জানান, সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মসজিদের ইমামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।