প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। দৈনিক হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
এমতাবস্থায় করোনা প্রতিরোধে নানা ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করছে মানুষ। এর অংশ হিসেবে বাড়ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। যার ফলে ভারতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাতে ঘা বা হ্যান্ড একজিমায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে এবছর এই রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে নিয়ম না মেনে যথেচ্ছ স্যানিটাইজারের ব্যবহারই এই হ্যান্ড একজিমার প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এই ঘা কখনও হালকা আবার কখনও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে প্রাইভেট চেম্বার, চিকিৎসকদের কাছে নিয়মিত এই রোগীরা আসছেন নিরাময়ের জন্য।
ভারতের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর চিকিৎসক অভিষেক দে বলেন, প্রতি ৪০ জন রোগীর মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ রোগী আসছেন যারা, যথেচ্ছ এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজাইজার ব্যবহার না করে হ্যান্ড একজিমার শিকার হয়েছেন। কেউ আবার ‘ফাঙ্গাল ইনফেকশন’র শিকার হয়ে গেছেন। আশঙ্কা করছি, যত করোনা ছড়াবে ততই এই রোগীর সংখ্যা বাড়বে।
অভিষেকের পরামর্শ, ‘ঘরে থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহার না করে সাবান ব্যবহার করুন। এটা যেন ময়েশ্চরাইজার সোপ হয়। রঙিন স্যানিটাইজার ভুলেও ব্যবহার করবেন না। অ্যালকোহল যুক্ত রঙহীন স্যানিটাজার ব্যবহার করুন। রাস্তায় যখন স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন তখন অবশ্যই কিছু না পেলে সঙ্গে নারিকেল তেল রাখুন। এই তেলটা খুবই কাজের। স্যানিটাইজার মাখার পর ওই নারিকেল তেল হাতে মেখে নিন। যাতে হাতের নরমভাবটা বজায় থাকে।’
একই মত দিয়েছেন আরেক নামী কনসালটেন্ট ডার্মাটোলজিস্ট চিকিৎসক জয়ন্তকুমার দাস। তার মতে, হ্যান্ড একজিমা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যেটা অনেকটাই যথেচ্ছ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য। পরামর্শ হিসেবে তিনি একদিকে যেমন গ্লিসারিন যুক্ত অ্যালকোহল–বেসড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলেছেন তেমনি জানিয়েছেন হাতের চামড়ার নরম ভাবটা বজায় রাখতে অন্য কিছু না পেলে যেন অবশ্যই নারিকেল তেল ব্যবহার করা হয়। তার কথায়, স্যানিটাইজার ব্যবহারে হাতের চামড়া খসখসে হয়ে যায়। যেটা প্রতিরোধ করবে নারিকেল তেল। সূত্র: আজকাল