নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের পানান বাজার থেকে এক ভিখারি চা দোকানী ছেলেকে উচ্ছেদ করেছে ক্ষমতাশালীরা।
এ ঘটনায় উপজেলার ভাড়ারিয়া গ্রামের ভিক্ষুক মা ও মৃত ইদ্রিসের ছেলে ভুক্তভোগী মো. মুন্নাফ (৩০) এর সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত ৮ বছরের ন্যায়, গত ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রতিদিনের মত জীবিকার তাগিদে চা এর দোকান করছিলো সমবায় উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পশ্চিম পাশে। হঠাৎ উপজেলার চর পানান গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আমিনুর (৩২) একদল গুন্ডা নিয়ে তার দোকানের সকল মালামাল ছুড়ে ফেলে দিয়ে তাকে দোকান থেকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। এ সময় আমিনুরের সাথে ছিলো, পানান গ্রামের মো. নুরুর রহমান ওরফে নয়েছ (৫০), আন্দিবাড়ির সোনা মিয়া, চর পানান এর তোতা মিয়া সহ ২০-২২ জনের একদল লোক। আনুমানিক দুপুর ২ টা সময় এসে আমার জলন্ত চা এর চৌকা নিভিয়ে দিয়ে দোকানের সব মালামাল ছুড়ে ফেলে দিয়ে আমাকে বের করে দেয় তারা।
আমি নিতান্তই গরীব, বাজারে আমার ২০-২৫ হাজার টাকা বাকি রয়েছে। হাতে কোন টাকা-পয়সাও নেই। আমার পাশে দাঁড়ানোর মত কোন লোকও নেই। তাই এখনো থানায় কোন অভিযোগ দেইনি। বাজার পেরিফেরির এই জায়গায় আমি গত ৮ বছর যাবৎ দোকান করছি। মাননীয় এসিল্যান্ড বা ভূমি অফিসের কেউ যদি আমাকে দোকান ছেড়ে দিতে বলতো তবে আমার কোন দুঃখ থাকতো না। করোনার মধ্যে এই লোকগুলো আমাকে পেটে লাত্থি মারলো। এখন আমি মা ও পরিবার নিয়ে কিভাবে দিন পার করবো।
আমিনুর এর সাথে মুঠোফোনে জানায়, ঐ দোকানটি সে বাবুলের কাছ থেকে ৫০ টাকা ক্রয় করে মোন্নাফের কাছে মাসিক ৫শত টাকায় ভাড়া দিয়ে আসছিল। ভাড়া বকেয়া পড়ায় তাকে দোকান থেকে তুলে দিয়েছে। তবে, জমির মালিকানার বিষয়ে আমিনুর বলে, বাজারের সকল জায়গাই সরকারি, দীর্ঘদিন যাবৎ এভাবেই ক্রয়-বিক্রয় হয়ে আসছে। তাই আমি ঐ জায়গাটা ক্রয় করে ভাড়া দিয়েছিলাম। বিষয়টি বাজারের বণিক সমিতি অবগত আছে।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি তারিন মাসরুর বলেন, এমন কোন বিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দোকান থেকে উচ্ছেদের বিষয়ে আমারা খোঁজ খবর নেবো।