...
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

সংক্রমণের ৪০ দিন পরেও করোনা টেস্ট পজিটিভ আসতে পারে

যা যা মিস করেছেন

১.আপনার ঘরে যদি এক বা একাধিক কোভিড পজিটিভ রোগী থাকেন তারা আইসোলেটেড থাকবেন তথা পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখবেন।

২. ঘরে কোভিড পজিটিভ রোগীর আছে এই যুক্তিতে অযথা কভিড টেস্ট করাবেন না। তবে আপনার যদি কোভিডের লক্ষণ দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে আপনাকেও টেস্ট করতে হবে।

৩. আপনার ঘরে কোভিড পজিটিভ রোগী থাকলে আপনার কোভিড রিপোর্ট থাকুক বা না থাকুক, পজিটিভ নেগেটিভ যাই হোক, আপনাকেও ঘরে থাকতে হবে। বের হবেন না, অফিসে বা কাজে যাবেন না। কেননা টেস্ট নেগেটিভ বা লক্ষণহীন (asymptomatic) হয়েও আপনি অন্যদের মধ্যে করোনা বিস্তারে সক্ষমতা রাখেন যেহেতু আপনার ঘরে কোভিড পজিটিভ রোগী আছেন।
৪. আপনার স্বজনের যেদিন লক্ষণ দেখা দিয়েছে অথবা যেদিন পজিটিভ হয়েছে এর মধ্যে যেটি আগে সেদিন থেকে সম্পূর্ণ ১০ (দশ) দিন আপনাকে সমাজ থেকে এবং আপনার স্বজনকে পরিবারের অন্য সদস্য থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আইসোলেশন ১০ দিন হলে চলে, তবে ১৪ দিন হলে আরো ভালো, তখন আর কোনো ঝুঁকি থাকে না।

উল্লেখ্য, রোগী যদি আইসিইউর প্রয়োজন হয়েছিল এমন তীব্র সংক্রমণে ভুগে থাকেন তবে লক্ষণ দেখা দেওয়ার ২১ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবেন।

৫. কোভিড টেস্ট পজিটিভ হলে রোগ সেরে যাওয়ার পরও দীর্ঘদিন (৪০ দিন বা তার বেশি দিন পর্যন্ত) পরবর্তীতে টেস্ট পজিটিভ আসতে পারে। ভাইরাসের ভগ্নাংশের জন্য পরবর্তীতে পজিটিভ হয়, আসল ভাইরাসের জন্য নয়। তাই দ্বিতীয়বার বা বারবার কোভিড টেস্ট করানোর কোনই প্রয়োজন নেই। তবে অফিশিয়াল বা ভ্রমণ জনিত প্রয়োজনীয়তার প্রশ্ন থাকলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার।

৬. অফিসগুলির উচিত কারো করোনা লক্ষণ দেখা দেওয়ার বা কোভিড পজিটিভ হওয়ার পর ১৪ দিন পার হয়ে গেলে অফিসে যোগদান করতে কোভিড টেস্ট এর বাধ্যবাধকতা না দেয়া।

৭. ভিতরে সংক্রমণ থাকা সত্ত্বেও শতভাগ ক্ষেত্রে কোভিড টেস্ট পজিটিভ আসে না। PCR টেস্ট ১০০ জন কোভিড রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৫-৭০ জনকে শনাক্ত করতে পারে, সময়ের সাথে হার আরও কমে। সুতরাং কারো টেস্ট নেগেটিভ হয়েও শরীরে করোনা থাকতে পারে যদি যথাযথ লক্ষণ থাকে।

৮. এন্টিজেন টেস্টেও পিসিআর টেস্টের মতো করোনা সংক্রমণ থাকা সত্ত্বেও নেগেটিভ আসতে পারে।

৯. বুকের সিটিস্ক্যানে করোনা ইনফেকশন ধরা পড়লে কোভিড টেস্ট পজেটিভ কি নেগেটিভ তাতে কিছু যায় আসে না।

১০. অনেক কোভিড রোগীরই কোভিড টেস্ট নেগেটিভ আসে। তাই রোগ নির্ণয়ে সিটিস্ক্যানের উপর অনেক সময় নির্ভর করতে হয়।

১১. সিটি স্ক্যানে করোনা পজিটিভ হলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আবার কোভিড টেস্ট করাটা অপ্রয়োজনীয় ও সম্পদের অপচয়।

১২. নিজের বা স্বজনের কোভিড হয়ে থাকলে নিয়মিত বিরতিতে পালস অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপতে থাকুন। এটি ৯৩% এর নিচে নেমে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে আরও কিছু ঔষধ লাগবে এবং অক্সিজেন লাগবে।

লেখক : এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (চেস্ট), বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.