চতুর্থ দফার ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহারের শীতলকুচি। গুলিতে প্রাণ গেল এক যুবকের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ নেয় পাঠানটুলি এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নামানো হয়। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কমিশনের পক্ষ থেকে রিটার্নিং অফিসারকে ফোন করা হয়।
বিজেপি কর্মীদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে শনিবার সকালে ভোট দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছিল তাদের। এ নিয়ে একাধিক বুথে অশান্তি হয়। বিজেপির অভিযোগ, পাঠানটুলির ৮৫ নম্বর বুথ থেকে বলপূর্বক বিজেপির এজেন্ট আনন্দ বর্মনকে বের করে দেয় তৃণমূল। এরপরই তাকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। বোমাবাজিও করা হয় ওই বুথের সামনে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। জখম হন বেশ কয়েকজন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কর্মীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। যদিও পরিবারের দাবি, ওই যুবক বিজেপির পোলিং এজেন্ট নন। তিনি প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন।
এদিন সিতাই এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। তবে তার রাজনৈতিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এ ছাড়া কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই বোমাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ। একাধিক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। প্রতিক্ষেত্রেই অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। তাদের পাল্টা দাবি উত্তরবঙ্গের দিনহাটা, শীতলকুচি, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জের একাধিক বুথে তৃণমূলের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন, হিন্দুস্তান টাইমস