উদ্ভাবনের শেষ নেই স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের। ইলন মাস্ক গত বেফ্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন, এবার মানুষের মস্তিষ্কে নয়, বরং বানরের মস্তিষ্কের কলকবজা নিয়ে কাজ করবেন। এতে সরাসরি বানরের মস্তিষ্ক থেকে ভিডিও গেম খেলা যাবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। এতে করে হাত-পা ছোড়াছুড়ির আর প্রয়োজন হবে না। নিউরালিংক করপোরেশন এর আগে দুটি প্রাণীর মস্তিষ্কে পয়সা আকারের তারহীন সেন্সর যুক্ত করেছিল বলে জানিয়েছিল।
অবশেষে ইলন মাস্কের সেই ইচ্ছা পূরণ হলো। সত্যি সত্যিই বানরের গেম খেলার একটি ভিডিও প্রকাশ করলেন তিনি। ভিডিওটি প্রকাশ করেছে ইলন মাস্কের নিউরোটেকনোলজি সংস্থা নিউরালিংক। এই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো এমন একটি ইন্টারফেস তৈরি করা, যা মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে জুড়ে দেয়।
প্রায় চার মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ৯ বছর বয়সী একটি মাকাক প্রজাতির বানর পেজার কম্পিউটার স্ক্রিনে ‘মাইন্ড পং’ নামের একটি ভিডিও গেম খেলছে। পেজারের মস্তিষ্কের উভয় পাশে নিউরালিংক যুক্ত করা ছিল।
স্ক্রিনে চলা গেম নিয়ন্ত্রণের জন্য পেজারকে জয়স্টিক ব্যবহার করতে দেখা যায়। এ সময় তার মস্তিষ্কে আলোড়ন তোলা নিউরনের প্রবাহ সরাসরি সম্প্রচার করে দেখিয়েছেন গবেষকেরা। ফলে পেজারের মস্তিষ্কের স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপের সাথে তার জয়স্টিক চালানোর একটি গাণিতিক সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।
কয়েক মিনিট পরে, বিজ্ঞানীরা জয়স্টিকটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলেও পেজারকে গেমটি চালিয়ে যেতে দেখা যায়।
নিউরালিংক জানিয়েছে, প্রায় ছয় সপ্তাহ আগেই এ পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞানীরা পেজারের মস্তিষ্কে মাইক্রোচিপ স্থাপন করেন। ভবিষ্যতে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের চিকিৎসায় অবদান রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন ইলন মাস্ক।