দিনাজপুরে এবার একটি লোহার খনির সন্ধানে নেমেছে বাংলাদেশ ভু-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)।অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর খনির সম্ভাবতা যাচাই ও জরিপের জন্য শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে কুপ খনন (ড্রিলিং)কাজ শুরু করেছে জিএসবি’র একটি টীম।নতুন খনি আবিস্কৃত হচ্ছে এমন আভাষে উচ্ছাসিত এলাকার মানুষ ।
প্রায় কুড়ি বছর আগে ২০০১ সালে এক জরিপে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর পুনট্রি ইউনিয়ন ও আশপাশের এলাকায় আকরিক লোহার অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হন ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর-জিএসবি। এরপর সেখানে লোহার খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছে, রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রক্রিয়ার চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে, জিএসবি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে আসে, চিরিরবন্দর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে।সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে লাগানো হয় সাইনবোর্ড।
সবশেষ গত শুক্রবার সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় কুপ খনন কাজ।এই কাজের উদ্বোধন কোরে জিএসবির মহাপরিচালক ড. মোঃ শের আলী বলেন,পাশের কিছু এলাকায় আকরিক লোহার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সেই তথ্য বিবেচনা করে, এখানে আকরিক লোহার রেশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবতা যাচাইয়ে, এখানে জরিপ করার জন্য খনন কাজ শুরু করা হয়েছে।
খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে খননকাজ শুরুর পর,এলাকায় খনি আবিস্কৃত হচ্ছে এমন খবরে উচ্ছসিত ওই এলাকার মানুষ।তারা আশা করছেন এখানে খনি আবিস্কৃত হলে, পাল্টে যাবে এলাকার সার্বিক চিত্র। উন্নয়ন ঘটবে এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়