নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার একটি রিসোর্টে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক। মুক্তির পর শনিবার রাত ১০টায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন তিনি।
লাইভে তিনি বলেন, ‘অনেকের মধ্যে আজকের ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেক বিভ্রান্তিও হচ্ছে। মূলত আসল ঘটনা জানাতেই আমি ফেসবুক লাইভে এসেছি। আমার সাথে আমার বড় ভাই ও মেজ ভাইও আছেন।’
মামুনুল হক বলেন, ‘টানা পরিশ্রমের কারণে আমার একটু বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। বিশ্রামের জন্য ঢাকার অদূরে সোনারগাঁও গিয়েছিলাম। সেখানে সঙ্গে আমার স্ত্রী ছিলেন। আমার স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমার সাথে যিনি ছিলেন, তিনি আমার বিবাহিতা দ্বিতীয় স্ত্রী। পুলিশ আমার থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়ে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। যিনি আমার সাথে ছিলেন তিনি আমার একজন অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাবেক স্ত্রী ছিলেন। তাদের আড়াই বছরের সংসার ছিল… এবং দুটি সন্তানও আছে। এরপর পারিবারিকভাবে এবং আমার কিছু কাছের বন্ধুর উপস্থিতিতে আমি তাকে বিয়ে করি।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মীকে সাথে কিছু যুবলীগ ও সরকারদলীয় লোক আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। তারা লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে হামলা ও আক্রমণ করেছেন। দেশের মানুষ আমার বক্তব্য সেখানেও শুনেছে ও দেখেছে।’
মামুনুল হক আরও বলেন, ‘ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ওই রিসোর্টে এসে আমাকে উদ্ধার করেন। তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আমি জনতাকে শান্ত করি ও তাদের নিয়ে উক্ত স্থান ত্যাগ করি। আমি আহ্বান করব, এই বিষয় নিয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। সবাই শান্ত থাকুন। জানমালের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করবেন না। এটাই আমার অফিসিয়াল বক্তব্য।’