করোনাভাইরাসে ফের নাকাল পুরো বিশ্ব। আরও বেশি শক্তি, কৌশল এবং নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে এ ভাইরাস আবার ফিরে এসেছে। এখন আর কাশি নেই, নেই জ্বরও। তবে শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা আছে, আছে দুর্বলতা। সেই সাথে ক্ষুধা মন্দা ও কোভিড নিউমোনিয়া। এ ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর মৃত্যুর হার বেশি, তাই দ্রুত করোনা পরিস্থিতির অবণতি ঘটছে। করোনা আক্রান্ত হলেও কখনও কখনও কোনো লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে না…
তাই নতুন এই করোনা প্রতিরোধে সাবধান হওয়া জরুরি। করোনার এই ধরনটি আমাদের নাসোফেরেঞ্জিয়াল (নাকের পিছনে গলার উপরের অংশ) অঞ্চলে স্থির থাকে না। এটি সরাসরি ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। জ্বর না থাকলেও এক্স-রে রিপোর্টে দেখা গেছে তারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
নাকের সোয়াব প্রায়শই কভিড-১৯ এর জন্য নেতিবাচক। তবে এখন নাসাল টেস্টে করোনা ধরা পড়ছে না … যার অর্থ ভাইরাস সরাসরি ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ছে এবং ভাইরাল নিউমোনিয়ার কারণে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। এতে বোঝা যায় কেন করোনার নতুন ধরনটি তীব্র এবং আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে।
এ করোনা প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করুন, জনাকীর্ণ স্থানগুলি এড়িয়ে চলুন, মাস্ক পরুন, বার বার হাত পরিষ্কার করুন।
করোনার প্রথম ধরনটির চেয়ে এটি আরও মারাত্মক। সুতরাং আমাদের খুব সাবধানতা এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
(ডা. রণজিত কুমার সিং এর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত, লেখক : ভারতের বিহার রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক)