শুভ তংচংগ্যা: ১৯৪৮ সালের আজকের দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের বৃহৎ এ ছাত্র সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনে নামেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরপর বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন ও এগারো দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং নব্বইয়ের সরকারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী এ সংগঠনের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয় ও গৌরবোজ্জ্বল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগ বান্দরবান জেলা সভাপতি পুলু মার্মা। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি প্রজন্মে, প্রতিটি তারুণ্যে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অনুভূতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রেষ্ঠতম স্থানে অবস্থান করেছে এবং আগামীতেও অবধারিতভাবে করবে। তাই, ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার পরিকল্পিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ নেতৃত্ব দেবে ছাত্রলীগ, ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে এটিই আমাদের সংকল্প।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে সকালে বান্দরবান রাজার মাঠ হতে একটি বর্ণ্যাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। পরে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
শেষে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে শুরু হয় এক আলোচনা সভা। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু মার্মা এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী।
সভায় প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। করোনা মহামারীকালেও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল এই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় আগামীতে ও ছাত্রলীগের এই গৌরব অক্ষুণ রাখতে সকল দলীয় নেতাকর্মীকে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান তিনি।