শেখ শাহরিয়ার হোসেন, জবি প্রতিনিধি: স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য ‘গোল্ডেন রক্তদাতা সম্মাননা’ পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী নাহিদা বেগম।
সম্প্রতি রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিউটিউশন (আইইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে তিনবার রক্ত দানকারী লাইফ লং, ১০ বারের সিলভার, ২৫ বারের গোল্ডেন এবং ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করা প্লাটিনাম বিভাগে তিন শতাধিক স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
এ বিষয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী নাহিদা বেগম বলেন, রক্তদান অত্যন্ত মহৎ একটি কাজ। অন্যকে রক্তদানের মাধ্যমে যেমন তার জীবন বাঁচানো যায়,তেমনি রক্তদাতার নিজের শরীরও ভালো থাকে। দুর্ঘটনায় আহত, ক্যানসার বা অন্য কোনো জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য, অস্ত্রোপচার কিংবা সন্তান প্রসব অথবা থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজন হয়। অনেকে নানা ভ্রান্ত ধারণার কারণে রক্তদান করতে চান না। নতুন প্রজন্মের কাছে রক্তদান সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। যেমন ৪ মাস পর পর রক্ত দিলে রক্তদাতা নিজের সুস্থতার ব্যাপারে জানতে পারে। প্রতিবার রক্তদানের মাধ্যমে প্রাণঘাতী রক্তবাহিত রোগ হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইসিস সি, এইডস, সিফিলিস এবং ম্যালেরিয়া রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে সচেতন থাকাসহ নানাবিধ ইতিবাচক প্রভাব পড়ে রক্তাদাতার শরীর ও মনে। আমি ২৭ বার রক্ত দিয়েছি। তাই তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, নিজে সুস্থ থাকতে ও বিপন্ন মানুষের উপকারে রক্ত দান করুন।
প্রসঙ্গত, স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতেই নিয়মিত এমন মূল্যায়নের আয়োজন করে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। দেশে প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ লাখ ইউনিট রক্ত চাহিদার আট ভাগের এক ভাগ পূরণ করে যাচ্ছে মানবিক এ সংগঠন। চলতি বছর এখান থেকে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করা হয়। এ বছরের এ সংগ্রহ আসে কোয়ান্টামের প্রায় ৩৫ হাজার রক্তদাতার কাছ থেকে।