তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মাঠে পাকা ধান পড়ে আছে। কাটার মানুষ নেই। ফলে মাঠেই ঝরছে পাকা ধান। মৌলভীবাজারের বড়লেখার বিভিন্ন এলাকার আমন ধানের মাঠের দৃশ্য এমনটাই। এই সময়ে শতকরা ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তথ্যে জানা যায় অধিকাংশ এলাকায় মাঠেই ঝরছে পাকা ধান।
কৃষকদের জানান, শ্রমিক সংকটের কারণে ঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না তারা।তুলনামূলক বেশি পারিশ্রমিক দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না ধান কাটার শ্রমিক। ফলে বাধ্য হয়েই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে। ধান কাটার মৌসুমে সুনামগঞ্জ হবিগঞ্জ থেকে শ্রমিকেরা আসেন। কিন্তু এবার চাহিদার তুলনায় কম শ্রমিক আসায় দেখা দিয়েছে সংকট। অতিরিক্ত মজুরি দিয়েও শ্রমিকেরা সিডিউল দিতে পারছেন না।
উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির কৃষক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি ২০ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। মোটামুটি ভালোই ফলন হয়েছে৷ কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছি না। নিজেরা যা পারছি কাটছি আর শ্রমিকের অপেক্ষায় আছি।
এনামুল হক নামের এক কৃষক বলেন, ‘গতবছরও সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ থেকে অনেক শ্রমিকেরা এসেছিলেন। কিন্তু এবার চাহিদামত না আসায় সংকট দেখা দিয়েছে। আমি আমার ছোট ছোট ছেলেদের নিয়ে কষ্ট করে ধান কাটছি।’
জামাল উদ্দিন নামের একজন বলেন, ‘ ধান কাটার মানুষ না থাকায় মাঠেই আমার পাকা ধান ঝরছে। শ্রমিকেরা অতিরিক্ত মুল্য দাবি করছে৷ বিঘা প্রতি ২২ শত থেকে ২৩ শত টাকা দাবি করছেন তারা। গতবছরও যেখানে ১৬ শ ১৭ শ টাকা ছিলো।
বড়লেখা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এএসএম রাশেদুজ্জামান বিন হাফিজ বলেন, ‘এবছর বড়লেখায় ৮ হাজার ৯শ ৮৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। অধিকাংশ জমিতে ধান কাটা শেষের দিকে৷ ধান কাটার জন্য মেশিন রয়েছে তাই শ্রমিক সংকটের জন্য ধান মাঠে থাকার কথা না। কৃষকেরা ধান কাটার জন্য মেশিন ব্যবহার করতে পারে।