সরিষাবাড়ী জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাছ ধরা নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হামলা, ভাংচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ( ১৫ ডিসেম্বর)
দুপুরে যমুনা সারকারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার বৃহস্পতিবার খুইটামারা বিলে মাছ ধরা নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ বাধে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ উত্তেজনার জের ধরে দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সমর্থকরা যমুনা সারকারখানা এলাকায় জমায়েত হতে শুরু করে। পরে আশরাফুল ইসলাম মানিকের লোকজন সার কারখানার পাশ্ববর্তী চরপাড়া গ্রামের দিকে চলে যাচ্ছিল। এমন সময় পিছন থেকে ইট পাটকেলসহ গুলি ছোঁড়েন রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন। পরে আশরাফুল ইসলাম মানিকের লোকজনও ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ইট পাটকেলের আঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ হাফিজুর (৩৫), বাচ্চু (৩৬), মোতালেব (৪০), মোস্তাকসহ (৪২) অন্তত ৫ জন আহত হয়। স্থানীয়দের অনেকে ৫-৬ রাউন্ড গুলির শব্দ পেলেও গুলির শব্দ কানে পৌছায়নি পুলিশের। ঘটনার পর রাস্তার পাশে গুলির খোসা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক বলেন, তার লোকজন চরপাড়া গ্রামের দিকে আসতে ছিল। এমন সময় রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই শফিকুল ইসলাম ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন। আর রফিকুলের লোকজন তার লোকজনকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ৫ জন আহত হয়।
রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আশরাফুল আলম মানিকের লোকজন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যায়। পরে তারা হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই লক্ষ্য ৮২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তার লোকজনও তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে মারে। তিনি দাবি করে বলেন, এ ঘটনায় কোন পক্ষই গুলি ছোঁড়েনি।
তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) সরোয়ার জাহান বলেন, তারা কোন গুলির শব্দ পাননি। গুলির ছোঁড়ার বিষয়টিও কেউ তাদের জানায়নি। তবে দু’পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপক্ষের ছোঁড়া ইট পাটকেলের আঘাতে এসআই) আব্দুল মালেক, সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুস সাত্তারসহ কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।