পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি: ফেনীতে একটি অস্ত্র মামলায় ৭ আসামির এক ধারায় ১৫ বছর ও অপর ধারায় ৭ বছর’সহ মোট ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ আগস্ট) ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালত-২ এর বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে জামিনে থাকা ৫ আসামি উপস্থিত ও দুই আসামি পলাতক ছিলেন।
পলাতক আসামিরা হলো, ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের পাটোয়ারি বাড়ির মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম জিয়া ও সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের আব্দুল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম সবুজ।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের (পাটোয়ারি বাড়ি) আব্দুল হকের ছেলে মহিউদ্দিন, একই ইউনিয়নের দক্ষিণ চনুয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে হুমায়ুন কবির মিন্টু, মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন, রুহুল আমিনের ছেলে ওসমান গনি ও কসবা গ্রামের (জাফর আলী জমাদ্দার বাড়ির) নুরুল হুদার ছেলের সাখাওয়াত হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনা করেন এপিপি ফরিদ আহম্মদ হাজারী ও আসামিপক্ষে মমালা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবুল হোসেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী এনামুল হক জানান, ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল সকালে সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের শাহজাহানের বাড়িতে অস্ত্র সজ্জিত হয়ে অবস্থান করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, একটি দেশীয় তৈরি পাইপ গান, দুইটি ছোরা, তিনটি রামদা ও একটি কাতুর্জ ও ৮টি ককটেল উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় তৎকালীন এসআই ফিরোজ আলম বাদী হয়ে পৃথকভাবে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই আব্দুল আউয়ালকে তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলি হলে মামলা তদন্ত দেয়া হয় এসআই মোতাহের হোসেনকে।
২০১৪ সালে ২৯ মে এসআই মোতাহার হোসেন ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করেন। আদালত ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট চার্জ গঠন করেন।
এ মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার দুপুরে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই মামলার রায় প্রদান করেন।
এপিপি ফরিদ আহমেদ হাজারী জানান এ মামলায় দুই ধারায় সাজা একসাথে চলবে।