পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি:
ফেনীর পরশুরামে ধর্ষন মামলার স্বাক্ষী হওয়াকে কেন্দ্র করে জাফর আহাম্মদ (৮০) নামের এক বৃদ্ব পিতাকে পিটিয়ে গুরতর আহত করেছে ছেলে, ছেলের বৌ ও নাতি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামে। এ ঘটনায় রবিবার(২১ আগস্ট) বৃদ্ব পিতা জাফর আহাম্মদ বাদী হয়ে ছেলে আবদুর রহমান(৫০), ছেলের বৌ নিলুফা আক্তার (৪৫), নাতি মো. আলম (২৪)এর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
জানা যায় গত গত ৫ মে আবদুর রহমানের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নাজমা আক্তারকে ধর্ষণের অভিযোগে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যামতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবদুর রহমানের বিরুদ্বে মামলা দায়ের করলে ওই মামলার স্বাক্ষি হন বৃদ্ব পিতা জাফর আহাম্মদ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুর রহমান গতকাল সন্ধায় বাড়ীতে এসে বৃদ্ব পিতা মাতাকে পিঠিয়ে গুরতর আহত করেন বলে অভিযোগ করেছেন। আবদুর রহমান ফেনীর জহিরিয়া মসজিদ সংলগ্ন একটি নূরানী মাদ্রাসার বাবুচ্চি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
গুরতর আহত জাফর আহাম্মদ শনিবার (২১ আগষ্ট) রাতে ছেলে আব্দুর রহমান, পুত্রবধূ নিলুফা আক্তার, নাতি আব্দুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় শনিবার ২০ আগস্ট সন্ধ্যায় বসত ঘরে সামনে বসা ছিলেন জাফর আহাম্মদ এসময় আবদুর রহমান, তার স্ত্রী নিলুফা ও ছেলে সহ জাফর আহমেদ কে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বৃদ্ব জাফর আহমেদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে তাকে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে জাফর আহাম্মদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জাফর আহমেদ অভিযোগ করেন ছোট ছেলের বৌ ফেনীর আদালতে নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করলে ওই মামলা তাকে স্বাক্ষী দেয়া হয়েছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল রাতে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় তিনি ছেলে, ছেলের বউ, নাতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত আবদুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পরশুরাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান বৃদ্ধ জাফর আহমেদকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ছেলে, ছেলের বউ এবং নাতির সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।