জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ৩নং আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওয়াতায় উপকারভোগীদের ডাটাবেজ অনলাইন করার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঐ ইউপির চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিল্টনের চাচাত ভাই রিগ্যানের বিরুদ্ধে। পরে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নাজমুুল হক বাবুসহ ৭ ইউপি সদস্যের প্রতিবাদের মুখে উপকারভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয় সাথে ভ্যান ভাড়াসহ। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত পত্রে সরকারের ১০ টাকা কেজির খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওয়াতায় প্রকৃত উপকারভোগীদের পূণাঙ্গ ডাটাবেজ অনলাইন করার জন্য স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদে পত্র প্রেরণ করা হয়। সেই আলোকে ইউনিয়নের পরিষদের উদ্যোক্তাগণ ভোক্তা যাচাইকরণ অ্যাপসের মাধ্যমে উপকারভোগীদের ডাটাবেজ হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করেন। প্রতিটি ডাটাবেজ তৈরীতে উদ্যোক্তারা পাবেন ১৫ টাকা । কিন্তু ডাটাবেজ অনলাইন কার্যক্রম শুরু করার সময় উপজেলার আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামূনুর রশিদ মিলন্টের চাচাত ভাই রিগ্যান হোসেন প্রতিটি উপকারভোগীদের নিকট থেকে অনলাইন করার জন্য অনলাইন ফি বাবদ ৫০ টাকা উৎকোচ নেন। বিষয়টি অত্র ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নাজমুল হক বাবুসহ ৭জন ইউপি সদস্য জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন । পরে ইউপি সদস্যের প্রতিবাদের মূখে ইউপি চেয়ারম্যান টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হোন বলো জানান তারা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষনা দিয়ে ইউনিয়নে সবত্র মাইকিং করে। পরে বুধবার ও আজ বৃহস্প্রতিবার ইউনিয়ন পরিষদে উপকারভোগীদের মাঝে যাতায়াতের ভ্যান ভাড়াসহ টাকা ফেরত দিতে দেখা যায়। উপকারভোগী বিরিঞ্চি গ্রামের পরিমল,জামালপুর গ্রামের উজ্জল ও আশরাফ আলী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে অনলাইন করার জন্য এলে চেয়ারম্যানের ভাই রিগ্যান আমাদের থেকে ৫০ টাকা করে নেন। পরে মাইকে শুনি টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আজ (বৃহস্প্রতিবার) এসে ৫০ টাকা করে ফেরত পেলাম এবং সাথে ভ্যান ভাড়া ২০ টাকা। ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নাজমুল হক বাবু ও ৭নং ইউপি সদস্য মুশফিকুর রহমান বলেন, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা কেজি চালের উপকার ভোগীদের অনলাইন করার সময় চেয়ারম্যানের ভাই রিগ্যান প্রত্যোকের নিকট থেকে ৫০ টাকা করে ঘুষ নেন। আমরা জানতে পারলে এর প্রতিবাদ করি এবং উপকারভোগীদের মাঝে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মাইকে প্রচার করি। ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিল্টন বলেন, আমার অজান্তে উদ্যোক্তরা টাকা নিয়েছিল। আমি জানার পর তা বন্ধ করে দেই। তিনি আরো বলেন, ঐ ইউপি সদস্যরা আমার নিকট টাকার ভাগবাটোরার প্রস্তাব দিয়েছিল, আমি তা প্রত্যাখান করি এবং উপকারভোগীদের মাঝে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেন বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যানের ভাই রিগ্যানের টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমার জানা নাই বলে জানান।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment